সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্থগিত দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ (১১ আগস্ট, শনিবার) সকাল ৮টা থেকে কেন্দ্র দুটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শতভাগ ভোট পড়লে সিটি করপোরেশনের মেয়রের চেয়ারে বসতে বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর প্রয়োজন হবে আর ৮১ ভোট।
স্থগিত হওয়া দুই কেন্দ্রের মোট ভোট ৪ হাজার ৭৮৭। এর মধ্যে গাজী বুরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২২১ জন।
দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোটের চেয়ে কম হওয়ায় ওই দুই কেন্দ্রে পুনঃভোটের আয়োজন করা হয়।
গেল ৩০ জুলাইয়ের নির্বাচনে ১৩৪ কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রের ভোট গণনায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর ভোট পান ৯০ হাজার ৪৯৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পান ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট। ফলে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর চেয়ে ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে এগিয়ে আছেন। অর্থাৎ, বিএনপি প্রার্থীর সমান হতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পেতে হবে ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে। এর পর বাকি থাকবে ১৬১ ভোট। এই ভোটের অর্ধেক থেকে ১ ভোট বেশি অর্থাৎ ৮১ ভোট পেলেই জয়ী হবেন যে কোন প্রার্থী। অর্থাৎ, শতভাগ ভোট পড়লে কামরানকে পেতে হবে ৪৬২৬+৮১=৪,৭০৭ ভোট, অন্যদিকে আরিফকে পেতে হবে ৮১ ভোট। ৮১ ভোট পেলে আরিফুল হকের ভোট সংখ্যা দাঁড়াবে ৯০,৫৭৭। বাকি থাকবে ৪,৭০৬ ভোট, যার সবগুলো আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের পক্ষে পড়লেও তার মোট ভোট গিয়ে দাঁড়াবে ৯০,৫৭৬ যা আরিফুল হকের থেকে ১ কম।
এখন দেখার বিষয় ৮১ ভোট পেয়ে আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট সিটির নগর পিতা হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণের সুযোগ পান, নাকি ৪,৭০৭ ভোট পেয়ে নতুন নগরপিতার দায়িত্ব পান বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। আ.লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে অন্য দলের প্রার্থীদের পাওয়া ভোটের ব্যবধান অনেক বেশি হওয়ায় তাদের এ প্রতিযোগিতায় আসার কোন সুযোগ নেই।