মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আচরণে ঢাবি শিক্ষক সমিতির উদ্বেগ

সংগৃহীত ছবি

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আচরণে ঢাবি শিক্ষক সমিতির উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস যেভাবে মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে একটি বিশেষ রাজনৈতিক পক্ষের স্বার্থ-সিদ্ধির সহায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তা উদ্বেগজনক বলে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাণ্যবর রাষ্ট্রদূত বিএনপি সমর্থিত ‘মায়ের ডাক’ নামক একটি সংগঠনের অহ্বানে ২০১৩ সালে একজন বিশেষ ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ শুনতে ঢাকা শহরের একটি বাড়িতে উপস্থিত হন। একই সময়ে খবর পেয়ে ‘মায়ের কান্না’ নামের সংগঠনের কর্মীরা তাদের মানবাধিকার লংঘনের বিষয়টি তাকে অবহিত করার জন্য একটি স্মারকলিপি প্রদানের চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে তিনি কর্ণপাত করেননি।

এতে আরো বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে কয়েকটি দেশের কূটনীতিকগণ যেভাবে বক্তব্য রাখছেন ও অংশগ্রহণ করছে তা দৃষ্টিকটূ ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারের লঙ্ঘন। পরিতাপের বিষয় হলো পশ্চিমা দেশগুলো যেমন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে আমাদের বিভিন্ন সময়ে মানবাধিকারের কথা বলে। অথচ তারাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের স্বঘোষিত খুনি ও একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি যেকোনো ধরনের মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথীতযশা শিক্ষকসহ দেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিত হত্যার ঘটনা ৭১ এর গণহত্যা ও মানবাধিকার লংঘন এবং বিভিন্ন সামরিক শাসনামলে হত্যা ও গুমের যে ঘটনা ঘটেছিল আমরা সেসব বিষয়েও মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ যারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষার দাবি করেন তাদের সুষ্পষ্ট বক্তব্য দাবি করছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বিদেশি কূটনীতিকদের শিষ্টাচার বজায় রেখে পেশাগত দায়িত্ব পালনে ও সমাজের সকল শ্রেণি-গোষ্ঠীর মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় সরকারকে সহযোগিতার আহবান জানাচ্ছে।