যুদ্ধকে পুঁজি করে উন্নয়ন অংশীদারদের সুদের হার বাড়ানো দুঃখজনক: প্রধানমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

যুদ্ধকে পুঁজি করে উন্নয়ন অংশীদারদের সুদের হার বাড়ানো দুঃখজনক: প্রধানমন্ত্রী

জয়দেব দাশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, কিন্তু এর জন্য আমরা দায়ী নয়। যুদ্ধ সারা বিশ্বে সমস্যা তৈরি করেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি ভুগছে। এই সংকটময় সন্ধিক্ষণে অনেক উন্নয়ন অংশীদার সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এটা দুঃখজনক। এর ফলে উন্নয়ন সহযোগীদের অবদান অর্থহীন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ’ এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।  

বাংলাদেশ ও এডিশয়ান উন্নয়ন ব্যাংক- এডিবির উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি  উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা করুনা বা দয়া ভিক্ষা চাই না, ন্যায্য অধিকার চাই। যুদ্ধকে ঘিরে অনেক বাণিজ্য সংস্থা অবরোধ আরোপ করছে, যা আরও সংকটময় করে তুলছে ব্যবসাকে। ’ 

ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার যাত্রায় সরকারের পাশে থাকতে এডিবি প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড চলাকালে স্বাস্থ্য সংকট দেখা দিলে তা মোকাবেলায় এডিবি আমাদের পাশে দাঁড়ায়। তাদের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ। এডিবি দুঃসময়ে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। ’ 

বাংলাদেশ সুশৃঙ্খল ও বাস্তবমুখী পরিকল্পনা নিয়ে উন্নয়ন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বাংলাদেশের অর্জনগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ’ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, গত এক দশকে বাংলাদেশের উন্নয়নে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক ২৮ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা দিয়েছে। চলতি অর্থবছরেও এডিবির আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় ৫০টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। ’ 

তিনি জানান, জিডিপির ভিত্তিতে বর্তমানে বিশ্বের ৩৩তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে ২৮তম এবং ২০৩৬ সালের মধ্যে ২৪তম স্থানে পৌঁছাবে বাংলাদেশ।  আগামী বছরই ৫০০ বিলিয়ন নতুন দিগন্ত রেখা স্পর্শ করবে দেশের অর্থনীতি। ’

বড় ধরনের ভৌত অবকাঠামো বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের গ্রাজুয়েশন অর্জন করা বাংলাদেশের কাছে ভবিষ্যতের লক্ষ্য, ২০৩১ সালের মধ্যে মাধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া; যা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ জ্ঞান বিজ্ঞানের স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করবে। ’
news24bd.tv/আইএএম