বিশ্বকাপ জয় করা ইংল্যান্ডকে বাংলাওয়াশ করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বকাপ জয় করা ইংল্যান্ডকে বাংলাওয়াশ করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

টাইাগরদের জয়কে অনূপ্রেরণা হিসেবে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৫ মার্চ) গাজীপুর শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালের নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান। এর আগে কলেজটির স্নাতক পাস শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।  

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বকাপ জয় করা ইংল্যান্ডকে বাংলাওয়াশ করা হয়েছে।

এ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ’ এ সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আবারও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী রোগীদের সেবায় আত্মনিয়োগে নার্সদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ওষুধ খেয়ে রোগীরা যতটা না সুস্থ হয়, তার চেয়ে বেশি সুস্থ হয় নার্সদের সেবা ও ডাক্তারদের সহানুভূতি পেলে।


  
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের উদাহরণ টেনে এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জনগণের সেবাই কাজ করবেন। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল মানুষের সেবাই নিজেকে উৎসর্গ করেন। এখনকার মতো তখন বিদ্যুৎ ছিল না। ল্যাম্প জ্বেলে মানুষের কাছে গিয়ে তিনি সেবা দিতেন। এখন বিদ্যুতের যুগে অত কষ্ট করার প্রয়োজন হবে না। তবে আপনারা আন্তরিক থাকবেন।  আপনাদের অর্জিত জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করবেন। ’

শেখ হাসিনা  বলেন, ‘নার্সিং যে অত্যন্ত একটা সেবামূলক কাজ, সেই গুরুত্বটাই ছিল না। আমরা ক্ষমতায় আসার পর নার্সিং পেশাকে বিশেষ মর্যাদা দিই ও গুরুত্ব দিয়ে থাকি। নার্সিংকে সবচেয়ে বিশ্বস্ত সেবা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কোভিডের সময় নার্সরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। ’

তিনি বলেন, ‘দেশের ভেতরে শুধু নয়, দেশের বাইরেও আমাদের নার্সদের ট্রেনিং করাচ্ছি। মাতৃসেবার দিকেও আমরা লক্ষ্য রাখছি। মানুষের সেবার ওপরই আমরা সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকি। ১৬টি নার্সিং ইনস্টিটিউটকে কলেজে রূপান্তর করা হবে। নার্সিং ট্রেনিংয়ের পর ভাষা শিখে বিদেশেও যাওয়া সম্ভব। কিন্তু আগে দেশের  চাহিদা পূরণ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের সেবা করে। ’ 

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা বদলে দিতে চেয়েছি। শিক্ষার হার বাড়াতে পেরেছি, স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করেছি। ’ কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনা পয়সায় দেওয়া ৩০ প্রকার ওষুধের সঙ্গে সরকার ইনসুলিনও দেবে বলে জানান তিনি।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজকে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমার মায়ের কথা মনে পড়ছে। আমার মায়ের অবদান এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রমে অপরিসীম। তিনি সবসময় আমার বাবার পাশে ছিলেন। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৮১ সালে দেশে আসার সুযোগ পায়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি ট্রাস্ট করে দেবো। বাড়িটি জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ট্রাস্ট গঠন করি এবং এই ট্রাস্টের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি, শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হয়। তাছাড়া গ্রেনেড হামলায় দলের আহত-নিহত ও  তাদের পরিবারের সদস্যদের সাহায্যে অর্থ খরচ করা হয়। এই নার্সিং কলেজটাও সেই অর্থ দিয়ে করা। ’

news24bd.tv/আইএএম