শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করলো স্বাচিপ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে

শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করলো স্বাচিপ

অনলাইন ডেস্ক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক শিশুদের উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, সংগীত, অভিনয়, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. তারানা হালিম, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি মিসেস আলেয়া সারোয়ার ডেইজি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন।

 

ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, ১৭ মার্চ, বাংলা-বাঙালি-বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলা ও বাঙালি যতদিন থাকবে, বঙ্গবন্ধুও একইভাবে প্রজ্বলিত হবেন প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে, মুক্তিকামী ও শান্তিকামীর হৃদয়ে।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একজনই জন্মেছিলেন।

যার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না।  

ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত আদর করতেন, ভালোবাসতেন। শিশুদের সাথে গল্প করতেন, খেলা করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে। তরুণ প্রজন্ম এই মহান নেতার আদর্শ থেকেই দেশ গড়ার অনুপ্রেরণা লাভ করে।  

ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও নিরলস পরিশ্রমের কারণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী যে গতিতে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন, তাতে আগামী ২০৪১ সাল নয়, তার আগেই উন্নত দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।  

আলোচনা শেষে উপস্থিত শিশুদেরকে নিয়ে জাতির পিতার ১০৩তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয় এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্য থেকে বিজয়ীদেরকে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উপহার স্বরুপ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের উপর লেখা বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় অংশগ্রহনকারী সকল শিশুদের।
 

এই রকম আরও টপিক