সুপার লিগে বাঘা বাঘা দলের উপরে বাংলাদেশ

সংগৃহীত ছবি

সুপার লিগে বাঘা বাঘা দলের উপরে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ সমীহ জাগানিয়া দলই বটে। টাইগাররা এই ফরম্যাটে বেশ ধারাবাহিক। তারপরও ওয়ানডে সুপার লিগে বাংলাদেশ যে শীর্ষ তিন দলের একটি হবে, তা কজনেই বা ভেবেছিলেন? 

কেউ ভাবুক কিংবা নাই ভাবুক, সুপার লিগের শেষ সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে সেরা তিনে থেকে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের দলের সামনে শুধুই রয়েছে গত বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড।

পেছনে পড়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ভারত-পাকিস্তানের মতো বাঘা বাঘা দলগুলো।

গতকাল রোববার বাংলাদেশ–আয়ারল্যান্ড তৃতীয় ওয়ানডে দিয়ে শেষ হয়েছে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের প্রথম আসর। নাটকীয় কিছু না ঘটলে শেষ আসরও এটিই।  আইসিসি গত নভেম্বরেই জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত করা হবে পুরোনো ধারায়, র‍্যাঙ্কিং পদ্ধতিতে।

ওয়ানডে ফরম্যাটকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ২০২০ সালে চালু হয় আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগ। যা ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল বাছাইপর্ব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। লিগের ফরম্যাট অনুযায়ী একটি সহযোগী দেশসহ (এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডস) আইসিসির পূর্ণাঙ্গ সদস্যদেশগুলো ৩ বছরের চক্রে ২৪টি করে ম্যাচ খেলার কথা ছিল। নানা কারণে পাঁচটি দেশই সব ম্যাচ খেলতে পারেনি। বাকি যে ৮টি দল সব ম্যাচ খেলেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। সেই ২৪ ম্যাচে ১৫৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়েছে টাইগাররা।

বাংলাদেশের সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইংল্যান্ড আছে রানরেটে এগিয়ে থাকায়। আর এ তালিকার শীর্ষে নিউজিল্যান্ড। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ১৮ ম্যাচে ১২ জয়ে ১২০ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার ৬ নম্বরে। ২১ ম্যাচে ১৩ জয়ে ১৩০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে একবারের বিশ্বজয়ী দল পাকিস্তান। দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতও খেলেছে ২১টি ম্যাচ। ২০২৩ বিশ্বকাপের স্বাগতিক হিসেবে ভারতের অবশ্য সুপার লিগের পয়েন্ট জরুরিও ছিল না। এমনিতেই সরাসরি বিশ্বকাপ খেলত তারা।

অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও ভারত—এই তিন দলই সূচিতে থাকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলেনি। ভারত সময় বের করতে পারেনি (খেলা জরুরিও ছিল না), অস্ট্রেলিয়া তালেবান সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আর পাকিস্তান সূচি আসার আগেই বিশ্বকাপ অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায়।

ওয়ানডে সুপার লিগে ব্যক্তিগত অর্জনেও বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটার সামনের দিকে জায়গা করে নিয়েছেন। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবং সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় সেরা ১০-এ আছেন বাংলাদেশের দুজন করে। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তামিম ইকবাল ৩৪.০৪ গড়ে তুলেছেন ৭৮৩ রান, আছেন সপ্তম স্থানে। আর ৪৪.৪১ গড়ে ৭৫৫ রান তুলে দশম স্থানে আছেন মুশফিকুর রহিম।

বোলিংয়ে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আছেন ৬ নম্বরে। ২০ ম্যাচে ৩১ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ২৩ ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়ে ৯ নম্বরে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। উইকেটকিপিং আর ক্যাচিং সাফল্যে অবশ্য সবার ওপরেই আছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম। উইকেটের পেছনে ২১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩১টি ডিসমিসাল করেছেন মুশফিক। এই তালিকায় নিউজিল্যান্ডের টম লাথাম ২৩ ম্যাচে ২৯ ডিসমিসাল নিয়ে দ্বিতীয় এবং ইংল্যান্ডের জস বাটলার ১৫ ম্যাচে ২৭ ডিসমিসাল নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন।

ফিল্ড ক্যাচিংয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪টি করে ক্যাচ নিয়েছেন বাংলাদেশের লিটন দাস ও মিরাজ। ১৩টি ক্যাচ নিয়ে পরের স্থানে ভারতের শিখর ধাওয়ান।

news24bd.tv/SHS