ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলের রাশিয়ার অধিকৃত অংশে দানিপ্রো নদীর কাখোভকা বাঁধ ধসের ফলে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে। ৬ জুন বাঁধটি ধসে পড়ার পর থেকে দক্ষিণ ইউক্রেনজুড়ে দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে ঘরবাড়ির পাশাপাশি কৃষিখামার ধ্বংস হয়েছে আর সাগরে গিয়ে পড়া নোংরা পানির কারণে ওই অঞ্চলের সৈকতগুলো বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খেরসন অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার জাতিসংঘ জানিয়েছে, বন্যায় দুর্যোগে পড়া বাসিন্দাদের জন্য দেওয়া তাদের সাহায্যের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো। রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে সেই অনুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার প্রথমদিক থেকেই কাখোভকা বাঁধটি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের আমলের এ বাঁধটি ধ্বংসের জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
ইউক্রেনের কৌঁসুলিদের তদন্তে সহায়তাকারী আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের একটি দল বলেছে, তাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এমন ধারণা পাওয়া গেছে যে রাশিয়ার পাতা বিস্ফোরকের কারণেই ‘খুব সম্ভবত’ বাঁধটি ধ্বংস হয়েছে।
অপরদিকে জলবিদ্যুৎ বাঁধে নাশকতার পেছনে কিইভকে অভিযুক্ত করেছে ক্রেমলিন। ওই বাঁধের পেছনে বিশাল আকৃতির একটি জলাধার ছিল। বাঁধ উড়িয়ে দিয়ে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের পানির ওই গুরুত্বপূর্ণ উৎস বিচ্ছিন্ন করে ফেলার জন্য কিইভকেই দুষেছে মস্কো।
news24bd/ARH