এডিসের লার্ভা ধ্বংসে বায়োলজিক্যাল কীটনাশক প্রয়োগ করবে ডিএনসিসি

সংগৃহীত ছবি

এডিসের লার্ভা ধ্বংসে বায়োলজিক্যাল কীটনাশক প্রয়োগ করবে ডিএনসিসি

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিসের লার্ভা ধ্বংসে শিগগিরই বায়োলজিক্যাল কীটনাশক বিটিআই প্রয়োগ করবে। আজ সোমবার রাজধানীর দক্ষিণখানে স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘মশার কামড় ক্ষতিকর’ শীর্ষক সচেতনতামূলক কার্টুন বই বিতরণকালে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘লার্ভা ধ্বংসে আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

অভিযান আরও জোরদার করতে দশটি অঞ্চলের জন্য দশ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হচ্ছে। আমাদের কাউন্সিলররা মাঠে আছেন। সবাইকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলেই ডেঙ্গু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। ’

এ সময় মেয়র ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩১ জুলাই পর্যন্ত চলমান বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম আরো এক মাস বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করার ঘোষণা দেন।

মেয়র আজ দক্ষিণখান মোল্লারটেক উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক কার্টুন বই বিতরণ করেন। পরে তিনি দেওয়ানপাড়া মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বইটি বিতরণ করেন। দুটি স্কুলের ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বইটি বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা বইটি পাওয়ার পরে অংকন করে। অংকনে ভাল করায় প্রতি ক্লাসের পাঁচ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার হিসেবে গাছের চারা ও বই তুলে দেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
 
মেয়র বলেন, ‘আমরা আমাদের শিশুদের সুপার হিরো বানাতে চাই মশার বিরুদ্ধে। শিশুরা যদি মশার বিষয়ে জানতে পারে এবং কামড় থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারে, তবে অনেকাংশেই আমরা মশাবাহিত রোগ রুখতে পারব। আমাদের ছাপানো আর্ট বুকটির মাধ্যমে শিশুরা মশার প্রজননস্থল, ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে পারবে। বইটি কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ঢাকা উত্তরের সকল কিন্ডারগার্টেন ও প্রাইমারি স্কুলে পৌঁছে দেয়া হবে। ১ লাখ বই বিতরণ শেষ হলে আমরা আরও ৫ লাখ বই ছাপিয়ে শিশুদের মাঝে তা বিতরণ করব। ’

প্রচারাভিযান ও পরিদর্শনে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. এ.কে.এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন, কাউন্সিলর ডি.এম.শামিম, জয়নাল আবেদীন ও মোতালেব মিয়া এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতানা।

news24bd.tv/SHS