নিত্যপণ্যের চাহিদা কমেছে ১০ শতাংশ

সংগৃহীত ছবি

নিত্যপণ্যের চাহিদা কমেছে ১০ শতাংশ

শাহনাজ ইয়াসমীন

দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের চাহিদা কমে গেছে ১০ শতাংশ। এমন তথ্য উঠে এসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনায়। এ তথ্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, গত দুই বছরে ২০ শতাংশ পরিবার কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছে।

যাদের বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি বাড়ার হার কম।  

৫০ বছর বয়সের বায়েজিদ আহমেদ কাজ করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। তিনি নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, গত দুই বছরে তার বেতন বাড়েনি।

কিন্তু এ সময়ে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুন। তাই তিন সদস্যের ছোট পরিবার হলেও বাজারে এসে মাছের দাম শুনেই চলে যেতে হয় তাকে।

৩১ বছরে বয়সের অনিকের গল্পটা একটু ভিন্ন হলেও সমস্যা একইরকম। তিনি জানান, পাঁচ সদস্যের পরিবার তার। কাজ করেন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে। আয়ও ভালো। তারপরও চড়া দামের কারণে পছন্দের পণ্যটি কিনতে হিমশিম খেতে হয় তাকে।

মাছ, সবজি, ডিমের দামের এই উত্তাপ আরও অসহনীয় মাংসের বাজারে। ভাটা পড়েছে ব্যবসাতেও। তাই পুরনো পেশা ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবছেন অনেক ব্যবসায়ী।  

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ বলছে, দামের উর্ধ্বগতির কারণে এক বছরে পণ্যের চাহিদা কমেছে ১০ শতাংশ। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আয় বেশি হলে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও সমস্যা হয় না। এখন মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের ওপরে। আর মজুরি বাড়ার হার ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।

এই বিশেষজ্ঞ বলছেন, শুধু মজুরি নয়, প্রভাব পড়েছে কর্মসংস্থানেও। সরকারি, বেসরকারি বিনিয়োগ কমায় কাজ কমেছে মানুষের।

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়িয়ে সরকারকে নতুন কর্মসংস্থানের যোগান দেওয়ার পরামর্শ দেন এই অর্থনীতিবিদ।     

news24bd.tv/আইএএম