৪১তম বিসিএস নন-ক্যাডারে সুপারিশ পেলেন ৩১৬৪ জন

সংগৃহীত ছবি

৪১তম বিসিএস নন-ক্যাডারে সুপারিশ পেলেন ৩১৬৪ জন

অনলাইন ডেস্ক

৪১তম বিসিএসের নন-ক্যাডারে ৩ হাজার ১৬৪ জনকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। নবম থেকে ১২তম গ্রেডের বিভিন্ন শূন্যপদে তারা নিয়োগ পাবেন।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) যুগ্ম-সচিব আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা-২০১৯-এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীদের মধ্য থেকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী-বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগের নন-ক্যাডারভুক্ত শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ৩ হাজার ১৬৪ জনকে সুপারিশ করা হলো।

তারা নবম থেকে ১২তম গ্রেডে নিয়োগ পাবেন।

এদিকে ৪১তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে সবচেয়ে বেশি সুপারিশ করা হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে। এ পদে ২৭৬ জনকে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে পিএসসি। এরপরই রয়েছে দশম গ্রেডে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীনে ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদ।

এ পদে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন ২৩৫ জন।

এছাড়া দশম গ্রেডে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে ১৮১ জন, মাউশির অধীন গণিত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৬৯ জন, ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ১৯৯ জন, জীববিজ্ঞানে ১২৩ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ২১৩ জন. বাংলাদেশ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয়ে এসএএস সুপারিনটেনডেন্ট পদে ১৭২ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে। ১২তম গ্রেডে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী পদে ১১০ জন সুপারিশ পেয়েছেন।

অন্যদিকে নবম গ্রেডে সাব-রেজিস্ট্রার পদে ১৫ জন, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পদে ৩১ জন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন টেক বা কম্পিউটার ইনস্ট্রাক্টর পদে ২৫ জন নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন।

এদিকে পিএসসির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী-নিয়োগের আগে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, অন্যান্য ডকুমেন্টসের সত্যতা যাচাই, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রার্থীর উচ্চতা, বুকের মাপ ও ওজন সম্পর্কিত তথ্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যাচাইয়ের পর নিশ্চিত হয়ে নিয়োগ প্রদান করতে হবে।

প্রকাশিত ফলাফলে কোনো ভুল-ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা সংশোধনের ক্ষমতা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সংরক্ষণ করে। এ সুপারিশ প্রার্থীর নন-ক্যাডার পদে চাকরি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করবে না বা অধিকার জন্মাবে না।

এছাড়া কমিশনের কাছ থেকে সুপারিশ প্রাপ্তির পর নিয়োগ সংক্রান্ত সব বিধি-বিধান ও আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালনপূর্বক নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে পারবে।

news24bd.tv/আইএএম