ঘরেবাইরে: একসঙ্গে এক ছায়াতলে কাজ করছেন নারীরা 

প্রতীকী ছবি

আন্তর্জাতিক নারী দিবস

ঘরেবাইরে: একসঙ্গে এক ছায়াতলে কাজ করছেন নারীরা 

দেবদুলাল মুন্না

চলছে স্বাধীনতার মাস। মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ রুমীর মা জাহানারা ইমাম বা শহীদ আজাদের মা সাফিয়া বেগমের মতো অনেক নারী  মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। নারীরা ক্যাম্পে ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি কাজ করেছেন। অস্ত্রশিক্ষা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রহরী হিসেবেও কাজ করেছেন।

পিছিয়ে ছিলেন না তারা।  

দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পর তাই নারীরা এখন সব ক্ষেত্রেই রয়েছেন এগিয়ে। ২০১৬ সালেই ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সে বলা হয়, নারী–পুরুষের সমতা (জেন্ডার ইক্যুইটি) প্রতিষ্ঠায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে আছে বাংলাদেশ। এ তালিকায় পাকিস্তানের অবস্থান সবার পেছনে।

১৪৪টি দেশে নারীর অবস্থান নিয়ে তালিকা করা হয়। ভারতের অবস্থানও বাংলাদেশের পেছনে।  

এরপর পেরিয়ে গেছে আরও  সাতটি বছর । এখন কেমন আছেন এ দেশের নারীরা ? 

রাজনীতি:
জাতিসংঘের অংশীদারি প্রতিষ্ঠান ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে প্রতি চারজন পার্লামেন্ট সদস্যের একজন নারী। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। ওই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আইপিইউর মহাসচিব মার্টিন চুনগং বলেন, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে প্রথমবারের মতো বিশ্বে পার্লামেন্টে নারীর সংখ্যা এক-চতুর্থাংশ ছাড়াল। ’ এ সময় তিনি পার্লামেন্টে নারী সদস্য বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ায় রুয়ান্ডা, কিউবা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানান। সেসময় তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে নারীর যে ক্ষমতায়ন ঘটেছে তার বড়ো প্রমাণ দীর্ঘদিন থেকে এ দেশের সরকার প্রধানও নারী ও প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রীও নারী। এছাড়া সংসদে রয়েছে সংরক্ষিত ৫০ নারী আসন। নারীরা নির্বাচন করেও সংসদে যাচ্ছেন।  

অর্থনীতি:
১৯৭৪ সালে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ ছিল মাত্র চার শতাংশ, ২০১৬ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৩৫ দশমিক ছয় শতাংশ।  ২০২৩ সালে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ শতাংশে। এ তথ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে জানানো হয়।  এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) জরিপ অনুযায়ী দেশের মোট ৪২ লাখ ২০ হাজার পোশাক শ্রমিকের মধ্যে নারীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৯৮ হাজার। পোশাক খাতের পরই প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি নারী শ্রমিকেরা দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিদেশে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন রকম নির্যাতনের শিকার হয়ে তাদের অনেকে দেশে ফিরে আসছে। বহু নারী প্রবাসে শত কষ্ট সহ্য করেও গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ১৯৯১ থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে মোট ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৬ নারী প্রবাসে কাজ করতে গেছেন।

সরকারি চাকরি:
এখন মেট্রোরেলের  প্রথম চালক মরিয়ম আফিজা, প্রথম নারী পাইলট সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানা,রেলওয়েতে সহকারী চালক সালমা খাতুন, কূটনীতিতে বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৯জন নারী। তারা হলেন, রাবাব ফাতিমা,সাঈদা মুনা তাসনীম , আবিদা ইসলাম, রেজিনা আহমেদ, নাহিদা রহমান সুমনা, সামিনা নাজ, সুলতানা লায়লা রহমান, নাহিদা সোবহান ও  সাদিয়া ফয়জুননেসা। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাশফি বিনতে শামস। এছাড়া পাবলিক সার্ভিস কমিশনের হিসাব মতে, ৪০তম বিসিএসে এক হাজার ৯৬৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৫১১ জন বা ২৬.০৩ শতাংশ। শেষ চারটি বিসিএসে নিয়োগের গড় করলে নারীদের হার দাঁড়ায় ২৫.৯৪ শতাংশ। মোটকথা বিসিএসে এক চতুর্থাংশ নারী এখন কাজ করছেন বিভিন্ন ক্যাডারে। জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এর কলা সেবা সেন্টারের ৮০ ভাগ সদস্যই নারী পুলিশ। এপিবিএন-১১-তে কর্মরত পুলিশের সব সদস্যই নারী। চারজন ডিআইজি ছাড়াও বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে ১৯ জন, পুলিশ সুপার পদে ৬৯ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে ১২২ জন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পদে ৯৮ জন এবং সহকারী পুলিশ সুপার পদে ১৫৯ জন ক্যাডার কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।  

ব্যাংক খাত:
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের জুন শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট কর্মী ছিলেন প্রায় দুই লাখ। তাদের মধ্যে ৩২ হাজার ৫৬৭ বা ১৬ দশমিক ৩২ নারী। এই অঙ্ক গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে মোট জনবল দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৯ জন। নারী কর্মী ৩২ হাজার ৫৬৭ জন। অর্থাৎ ব্যাংক খাতে যত লোক কাজ করেন, তার ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ নারী। ২০২২ সালের জুনের শেষে দেশের ব্যাংক খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৫৪৮ জন। শতকরা হিসাবে যা ছিল ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে নারীর কর্মসংস্থান বেড়েছে।

প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান:
এশিয়ার সেরা ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই নারী। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাময়িকী ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’ এ তালিকা তৈরি করেছে। তালিকায় স্থান পাওয়া দুই বাংলাদেশি নারী বিজ্ঞানী হলেন-বাংলাদেশের চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) পরিচালক ও বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী। এছাড়া ২০২৩ সালে  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশ্বসেরা ১০০ জনের নাম ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রভাবশালী ম্যাগাজিন টাইম। এই তালিকায় স্থান পান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. রুম্মান চৌধুরী। তিনি ডেটা সায়েন্স ও সোশ্যাল সায়েন্সের সমন্বয়ে ‘অ্যাপ্লাইড অ্যালগরিদমিক এথিকস’ নিয়ে কাজ করেন। রুম্মান মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিকতা ও মেশিন লার্নিং বিষয়ে গবেষণার কাজ করেন।  

সাংবাদিকতা :
বিবিসির প্রতিবেদন মতে , বাংলাদেশে প্রায় সাত দশক আগে নারীদের জন্য গড়ে তোলা বেগম পত্রিকার সম্পাদক নূরজাহান বেগম প্রয়াত হওয়ার পর অনেকদিন সাংবাদিকতা থেকে দুরে ছিলেন নারীরা। কিন্তু আশির দশকের শেষের দিক থেকে এখন অনেক নারী সাংবাদিকতা পেশায় আসছেন।

বিশেষ করে দেশটির ক্রমবর্ধমান টেলিভিশন শিল্পে নারীদের উপস্থিতি পুরুষদের চাইতে কোন অংশে কম নয়। বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পিআইডি গাইড নামক যে টেলিফোন নির্দেশিকাটি প্রকাশ করা হয়, তার সর্বশেষ সংস্করণে উল্লেখিত প্রায় দুশোটি ইংরেজি, বাংলা ও অনলাইন পত্রিকার মধ্যে নারী সম্পাদক রয়েছেন মোট ছজন।

বিবিসি জরিপ:
দুইবছর আগে বিবিসির করা এক জরিপে বিশ্বের ১০০  নারীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে ঠাঁই পেয়েছেন  সানজিদা ইসলাম ছোঁয়া। তিনি এখনও ছাত্রী। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছেন। নাম, ঘাসফড়িং। কাজ করে যাচ্ছেন বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে। বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম বাল্যবিবাহ-প্রবণ দেশ, তবে সানজিদা ইসলাম ছোঁয়া এই ধারা বদলানোর চেষ্টা করছেন। তার মায়েরও বিয়ে হয়েছিল অল্প বয়সে। স্কুলে বাল্যবিবাহের প্রভাব নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেখে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হন তিনি। ছোয়া ও বন্ধুরা, শিক্ষক ও সহযোগীরা নিজেদের ঘাসফড়িং হিসেবে পরিচয় দেন। বাল্যবিবাহের কোন ঘটনা জানলে তারা পুলিশকে জানান। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হয়েও ছোয়া ঘাসফড়িংয়ের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেন তিনি। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ভূমিকা রেখেছে ঘাসফড়িং।  

আদিবাসী নারীর সাবাংগী :
চাকমা ভাষায় ‘সাবাংগী’ শব্দের অর্থ, 'একসঙ্গে এক ছায়াতলে কাজ করা'। শব্দটিই বলে দিচ্ছে ‘সাবাংগী’ শুধুমাত্র একটি অনলাইন গ্রুপ না, এটির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করে যাওয়া। বর্তমানে গ্রুপটিতে ৩০০ জন নারী উদ্যোক্তা এবং সব মিলিয়ে ৩২ হাজার সদস্য যুক্ত রয়েছেন।

সিনেমায় নারীর অংশগ্রহণ :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগিতায় ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় ‘হাওয়া : মিথ, মিস্ট্রি অ্যান্ড ম্যাজিক্যাল রিয়েলিজম ইন বাংলাদেশী সিনেমা’  শিরোনামের এই আলাপচারিতা। এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মেহজাদ গালিব। বিষয়টির ওপর আলোচনা করেন ভারতের কলকাতার অভিনেত্রী ও নির্মাতা অপরাজিতা ঘোষ, অভিনয়শিল্পী বন্যা মির্জা এবং সঙ্গীতশিল্পী ও একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক নবনীতা চৌধুরী। অধিবেশনটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. কাবেরি গায়েন।

‘সাদা সাদা, কালা কালা’ গানটি। বেশ শক্তিশালীভাবে নারীর প্রতিনিধিত্ব করে যে সব বাংলাদেশী চলচ্চিত্র তার অন্যতম হাওয়া। গুলতি চরিত্রের লড়াই ও প্রতিশোধের চিত্রায়নের মধ্য দিয়ে নারীরা যে দুর্বল নয় এবং তারা যে বাংলা অঞ্চলের দেবীদের আশীর্বাদপ্রাপ্ত, তা প্রমাণ করা হয় এতে। গুলতি কোনও সাধারণ মানুষ নয়। তার মধ্যে একটা অশরীরী শক্তি আছে। যেই শক্তির বলে সে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের  বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়। নির্যাতিত মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছে।  এই চরিত্রটির মধ্যে মনসা মঙ্গল পুরাণে মনসা দেবীর রূপটি খুঁজে পাওয়া যায়। অন্যদিকে চান মাঝির চরিত্রটি মূলত চাঁদ সওদাগর দ্বারা প্রভাবিত একটি চরিত্র। হাওয়ার বাণিজ্যিক সাফল্য স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্রের ভালো পথ দেখিয়েছে। অপরাজিতা ঘোষ বলেন, বাংলাদেশে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে এবং নারী চরিত্রকে এখন আর আগের মতো অসহায় হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয় না । এটি ইতিবাচক দিক।  

খেলার জগতে নারী:
২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নেন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল। এর আগে ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা অর্জন করে নারী ক্রিকেট দল। এই আসরে তিন-তিনবার বাংলাদেশ পুরুষ দল অংশ নিলেও শিরোপা অর্জন করতে পারেনি। সেই মুকুট এসেছিল সালমা-রুমানাদের ‘টাইগ্রেস বাহিনীর’ হাত ধরে। বাংলাদেশের নারী ফুটবলের অর্জনের তালিকাটা দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। বয়সভিত্তিক ফুটবলে বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা অপ্রতিরোধ্য।  বাংলাদেশের নারী ফুটবল মানেই যেন ঝুলিভরা অর্জন। এর আগে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরে দেশে বীরদর্পে ফেরে জাতীয় নারী ফুটবল দল। দেশের মাটিতে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপেও বাংলার বাঘিনীদের জয়জয়কার। ২০২৩ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে অপরাজিত থেকে শিরোপা জয় করে বাংলাদেশের বয়স ভিত্তিক দলটি। এর আগে নেপালের দশরথ রঙ্গশালায় নেপালকে হারিয়ে সিনিয়র বিভাগের শিরোপা ঘরে তোলে সাবিনা খাতুনের দল।  

জয়িতা: তৃণমূলের নারী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে ‘জয়িতা’ কার্যক্রমের সূচনা করেন। জয়িতার কার্যক্রম বর্তমানে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং দেশব্যাপী নারীবান্ধব একটি বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। ‘জয়িতা’কে কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। এখন মিরপুর থেকে নিউমার্কেটের রাস্তায় ধানমণ্ডি ২৭ নাম্বার রাস্তার মোড়ে রাপা প্লাজায় জয়িতায় এসে বিক্রি করছেন তৃণমূলের নারী উদ্যোক্তারা নিজেদের তৈরি জিনিস।  এভাবে সব খাতেই নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে। নারীদের একটা বড়ো অংশ কাজ করছেন এনজিওতে। যারা এনজিওতে কাজ করেন তাদের অনেকে ডাকেন, ‘ টাকাআপা’ আবার যারা গার্মেন্টস খাতে কাজ করেন তাদের ডাকেন ( রকস্টার জেমসের গানের অনুকরণে) ‘সেলাই দিদিমণি’। নারীরা নিজেদের অধিকার আদায়ে সোচ্চারও রয়েছেন। নারী বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থা , ওয়েব পোর্টাল রয়েছে।  

news24bd.tv/ডিডি

এই রকম আরও টপিক