নারীদের জন্য হাদিস পাঠের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কাতারের আল মুজাদালা সেন্টার এন্ড মস্ক ফর উইমেন। বসন্ত পাঠচক্র-২ শীর্ষক এই আয়োজনে হাদিসের নানা দিকের ওপর আলোকপাত করা হবে। আল মুজাদালা সেন্টার কাতার ফাউন্ডেশনের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। আল মুজাদালা সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ড. সোহায়রা সিদ্দিকি বলেন, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হাদিস থেকে আমরা মুসলিমরা মহান অন্তর্দৃষ্টি, অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনা লাভ করি। আল মুজাদালায় হাদিসের পাঠদানের মাধ্যমে ঐশী নির্দেশনার নানাদিক উন্মোচিত হয়। যেমন ইবাদত, বিচারব্যবস্থা ও নৈতিকতা বিষয়ে ইসলামের প্রাথমিক যুগের নারীদের অংশগ্রহণ। তিনি আরো বলেন, হাদিসের কিতাবে এমন বহু ঘটনা পাওয়া যায় যেখানে মুসলিম নারীদেরকে মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে সংলাপে লিপ্ত হতে দেখা যায়। তারা নবীজি (সা.)-এর সামনে এমন বহু বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন যা...
কাতারে নারীদের হাদিস শেখার বিশেষ আয়োজন
নিহার মামদুহ

কোরআন অনুধাবনের প্রয়োজনীয়তা
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

কোরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা এবং কোরআন মানুষকে বুঝিয়ে দেওয়া নবুয়তি দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা.)-কে এ দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, আমি তোমার প্রতি এক স্মরণিকা (কিতাব) অবতীর্ণ করেছি, যেন তা তুমি মানুষের জন্য বয়ান তথা ব্যাখ্যা করে সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দাও, যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। (সুরা : জুমা, আয়াত : ২) ইসলামী শরিয়তের বিধান পালনের জন্য কোরআন শেখা ফরজ। যেমন বিশুদ্ধ নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য কোরআন তিলাওয়াত শুদ্ধ হওয়া আবশ্যক। তাই তিলাওয়াত শুদ্ধ করা ফরজ। ইবাদতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়এমন জ্ঞানের ব্যাপারে বিশুদ্ধ মত হলো তা অর্জন করা ফরজে কেফায়া। যদি উম্মতের একটি বিশেষ দল কোরআন নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করে তাহলে অন্যরা পাপমুক্ত থাকবে। আর কেউ না করলে সবাই গুনাহগার হবে। তবে প্রতিটি মুমিনের উচিত কোরআন গবেষণায় আগ্রহী হওয়া। আল্লামা জারকাশি (রহ.) বলেন, যার...
জিজ্ঞাসা: নামাজ পড়া অবস্থায় ইশারায় জবাব দেওয়া
মুফতি আবদুল্লাহ নুর

আমার নাম মুহাম্মদ হামদুল্লাহ। আমি একজন ব্যবসায়ী। কিছুদিন আগে আমি আমার দোকানে নামাজ পড়ছিলাম। তখন আমার দোকানের কর্মচারী আমাকে প্রশ্ন করে, সে দুপুরের খাবার খেতে যাবে কি না? আমি বেখায়ালে নামাজের মধ্যেই মাথা নেড়ে তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দেই। আমার প্রশ্ন হলো, এমনটি করায় আমার নামাজ নষ্ট হয়েছে কি না? প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, নামাজ পড়া অবস্থায় এক হাত অথবা মাথা দ্বারা ইশারা করে কোনো কিছুর উত্তর দিলে নামাজ নষ্ট হয় না। তবে নামাজের মধ্যে এভাবে ইশারা বা ইঙ্গিত করা একেবারেই অনুচিত। কোরআন ও হাদিসে পূর্ণ মনোযোগ ও একাগ্রতার সঙ্গে নামাজ আদায়ের বিশেষ তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তাই একান্ত্র প্রয়োজন ছাড়া নামাজের মধ্যে কারো কথার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করা অথবা ইচ্ছাকৃত হাত বা মাথা নাড়ানো গর্হিত কাজ। এটা থেকে বিরত থাকা সবার দায়িত্ব। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নামাজরত ব্যক্তি যতক্ষণ এদিক...
মুসলিম ভ্রাতৃত্ব রক্ষায় করণীয়
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

মুসলিম ভ্রাতৃত্ব মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মহা নিয়ামত। মহান আল্লাহ তাঁর সত্যিকার মুমিনদের এই অপার অনুগ্রহ দান করেন। আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব মানে হলো আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার আশায় এক আত্মার সঙ্গে আরেক আত্মার মিলন, এক হূদয়ের সঙ্গে আরেক হূদয়ের আন্তরিক সংযোগ। এই ভ্রাতৃত্বই প্রকৃত ঈমানের সঙ্গী, কারণ ঈমান ছাড়া ভ্রাতৃত্ব হতে পারে না, আর ভ্রাতৃত্ব ছাড়া ঈমানও পূর্ণতা পায় না। যদি কোথাও ঈমানহীন ভ্রাতৃত্ব দেখা যায়, বুঝতে হবে সেটা নিছক স্বার্থের লেনদেন ও পারস্পরিক সুবিধার বিনিময় মাত্র। আর যদি কোথাও ঈমান পাওয়া যায় কিন্তু প্রকৃত ভ্রাতৃত্ব অনুপস্থিত থাকে, তাহলে তা অসম্পূর্ণ ঈমান, যাকে পূর্ণতা দিতে প্রয়োজন আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংশোধনের। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা ঈমান ও ভ্রাতৃত্বকে একসঙ্গে উল্লেখ করেছেন, পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, মুমিনরাতো পরস্পর ভাই ভাই। (সুরা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর