১৩ নারীকর্মীর গোপন ভিডিও করে সিরাজুল

১৩ নারীকর্মীর গোপন ভিডিও করে সিরাজুল

অনলাইন ডেস্ক

আড়ংয়ের নারীকর্মীদের চেঞ্জ রুমে পোশাক পরিবর্তন করার সময় ভিডিও ধারণ করার গ্রেপ্তার হয়েছে সিরাজুল। তার কাছে মিলেছে ১৩ জন নারীকর্মীর ১২০টি গোপন ভিডিও।

সে যাদের ভিডিও করা হয়েছে, তাদের কাছে সেই ভিডিও পাঠাতো ফেসবুকের মেসেঞ্জারে। কখনও অর্থ দাবি কখনও বিকৃত চাহিদার কথা জানাতো তাদের।

এক বিক্রয়কর্মীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে।

সিরাজুল ইসলাম সজীব শনিবার (২৫ জানুয়ারি) কাফরুল থানার পূর্ব শেওড়াপাড়া থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে বনানী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা (নম্বর ৩৫) দায়ের করেন। এসআই ফারুক হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া সজীব আড়ংয়ের বনানী শাখার সাবেক কর্মী। তার বাবার নাম মৃত নূরে আলম স্বপন মুন্সী। গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন থানার আমিনাবাদে। ১০৯৮ নম্বর পূর্ব শেওড়াপাড়ার একটি বাসায় সে থাকতো। তার কাছ থেকে একটি রেডমি ৫ প্লাস ফোনসেট জব্দ করা হয়। ওই মোবাইলে তার নিজের ফেসবুক আইডি লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আড়ংয়ের ওই নারীকর্মীর ভিডিও করা এবং হুমকি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

তদন্ত সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সজীব জানিয়েছে, সে আড়ংয়ে চাকরি করতো। চাকরিরত অবস্থায় সে চতুর্থ তলার কর্মচারী চেঞ্জরুমের বাইরের সানসেট-এ দাঁড়িয়ে সেলফি স্টিক দিয়ে মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে আড়ংয়ের নারী কর্মচারীদের অজান্তে তাদের নিজস্ব ইউনিফর্ম পরিবর্তন করার সময় ভিডিও ধারণ করতো। তার কাছ থেকে ১৩ জন নারীকর্মীর ১২০টি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ২০১৯ সালের অক্টোবরে এক নারীকর্মীর ভিডিও করার অভিযোগে ডিসেম্বর মাসে সজীবকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে তার কাছে আগের করা সব ভিডিওগুলো সংরক্ষিত ছিল। তাকে এক দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। তার কাছ থেকে আরও তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর