মুখ বেঁধে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে গণধর্ষণ

মুখ বেঁধে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে গণধর্ষণ

অনলাইন ডেস্ক

এবার ভোলার দৌলতখান উপজেলায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্মচারীকে (৩৫) রিকশা থেকে নামিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ট্রলারে হাত-পা বেঁধে রাতভর তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনার রেশ না কাটতেই ভোলায় এ ঘটনা ঘটল।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাংলাবাজার হালিমা খাতুন কলেজের পেছনে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।  

বর্তমানে তিনি ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাতে কর্মস্থল বাংলাবাজারের ক্লিনিক থেকে অটোরিকশাযোগে হালিমা খাতুন কলেজের গেটের সামনে দিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন ওই নারী। পথিমধ্যে সন্তানদের জন্য কিছু খাবার আনতে অটোরিকশা চালককে দোকানে পাঠান। এ সময় ৪-৫ জন যুবক মুখ বেঁধে তাকে রিকশা থেকে নামিয়ে কলেজের পেছনে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যায় যুবকরা।

পরে স্থানীয়রা অজ্ঞান অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

দৌলতখান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সাদিকুর রহমান বলেন, ওই নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অটোরিকশা চালককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের চরফারুকি গ্রামের বুড়াগৌরঙ্গ নদীর তীরবর্তী দুর্গম চরে ট্রলারে হাত-পা বেঁধে রাতভর তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়। তাকে দুই দফায় ধর্ষণ করা হয়। একটি চরের বনে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তিনজন ধর্ষণ করে। পরে সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে তাঁকে একটি ট্রলারে তোলা হয়। ট্রলারে তাঁকে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করেন। এরপর গভীর রাতে ট্রলার আসতে দেখে ‘বাঁচাও’, ‘বাঁচাও’ বলে চিৎকার করলে কোস্টগার্ডের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর