করোনা রোগী তল্লাশির কথা বলে পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে ৫ বখাটে।
শনিবার (২৮ মার্চ) রাত ৩টার দিকে জামালপুরে সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
পরদিন রোববার (২৯ মার্চ) সকালে ঝিনাই নদীর পাড়ে জঙ্গল থেকে আহত অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
ওইদিন দুপুরে কিশোরীকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার (৩০ মার্চ) তার ডাক্তারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে।পরে সোমবার (৩০ মার্চ) রাশেদুল ইসলাম পুষন ও মিজানসহ অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনায় মিজান (২০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা সোমবার দুপুরে বলেন, শনিবার রাত ৩টার দিকে করোনা ভাইরাসের রোগী আছে, বাড়ি তল্লাশি করা হবে বলে পুলিশ পরিচয়ে দরজা খুলতে বলে কয়েকজন।
তিনি আরও বলেন, ৫ জনের মধ্যে একই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে পুষন এবং ওর বন্ধু টগার চরের মিজানকে চিনতে পারি।
অনেক খোঁজাখুজির পর রোববার সকালে ঝিনাই নদীর পাড়ে জঙ্গল থেকে আহত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে দুপুরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেমুজ্জামান জানান, কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মিজান নামে এক আসামিকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জামালপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) দেলোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। দেশের এই দুঃসময়ে পুলিশের নাম ব্যবহার করে করোনা রোগী তল্লাশির নামে অপরাধীরা এ ধরনের অপরাধ করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র- বাংলা নিউজ
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)