তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মুক্তার মহানুভবতা

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মুক্তার মহানুভবতা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রিয়জনদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার ও স্কুলের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে মাটির ব্যাংকে জমিয়েছিল ঠাকুরগাঁওয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা আক্তার।

সেই টাকা কর্মহীন, অসহায়, অসচ্ছল ও অভুক্ত মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলে তুলে দিল সে।

গতকাল শনিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিমের হাতে 
দুই বছর ধরে জমানো টাকার সেই মাটির ব্যাংকটি তুলে দেয়।  

সেন্ট মাদার তেরেসা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নাসিমা বেগমের মেয়ে।

এ সময় জেলা প্রশাসক আবেগআপ্লত হয়ে বলেন, ছোট্ট শিশুর মাটির ব্যংকে জমানো টাকা এভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য দেওয়াটা আমি অনুকরণীয় মনে করছি। তার কোমল হৃদয়ে যে করোনার বিষয়টি আঘাত করেছে এবং সে এ ক্রান্তিকালে গরীব অসহায়দের জন্য ভেবেছে এটাই বড় পাওয়া। দেশের এই সংকটের মুহূর্তে স্কুলছাত্রী মুক্তার এই অবদান দেশবাসী মনে রাখবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ওই মাটির ব্যাংকে কী পরিমাণ টাকা রয়েছে তা আমরা আপাতত গুনে দেখিনি।

মাটির ব্যাংক সহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আব্দুল লতিফ ও গৃহিণী নাসিমা বেগমের একমাত্র শিশু কন্যা মুক্তা। এই সংকটে মেয়ের এমন দানে গর্বিত বাবা-মা।

স্কুলছাত্রী মুক্তা জানায়, আমি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখেছি গরীব মানুষ অতি কষ্টে দিন যাপন করছেন। তারা অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। তাই আমি টিফিন ও উপহার থেকে ২ বছরের  জমানো টাকা গরীব মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিয়ে দিলাম।

ক্ষুদে স্কুলছাত্রীর এমন অবদানে অভিভূত ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ।

তারা বলছেন, কোমলমতি এই শিশুর দেখানো পথে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর