ই-কমার্সকে ঝুঁকিতে ফেলেছে ই-অরেঞ্জসহ কিছু প্রতিষ্ঠান

Other

সম্ভাবনাময় ই-কমার্স খাতকে ঝুঁকিতে ফেলেছে হাতে গোনা কয়েক নামধারি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। যাদের অতি লোভনীয় অফারে প্রতারিত হয়ে লাখ লাখ গ্রাহক এখন মহাবিপাকে। শুক্রবারও রাজধানীর একাধিক জায়গায় আন্দোলনে নামেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। আস্থাহীনতার এ ঝুঁকি মোকাবেলা করে এ খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহায়তা চেয়েছে ই-ক্যাব।

অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রাহকদের লোভনিয় মানসিকতা থেকেও বের হতে হবে।  

নিজের টাকায় পণ্য কিনে এখন রাজপথে !!! দাবি, হয় টাকা না হয় কাঙ্খিত পণ্য নিশ্চিত করার। ই-অরেঞ্জ নামের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পণ্য অর্ডার করে এমন বিপাকে এখন হাজার হাজার গ্রাহক।

এর আগে এসব প্রতিষ্ঠান কখনো ৫০ শতাংশ কখনো আবার ১০০ শতাংশ মাঝে মাঝে সেই পণ্যের দামের চেয়েও বেশি মূল্যছাড় দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় বিপুল পরিমান টাকা।

অথচ বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয় এক ব্যবসায়ীক প্লাটফর্ম ই-কমার্স। বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান আলিবাবা, এমাজন, ই-বের মতো হাজারো প্রতিষ্ঠান এই প্লাটফর্ম দিয়েই গ্রাহকের মন জয় করেছে, হয়েছে হাজার কোটি টাকার প্রতিষ্ঠান।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-ক্যাবও বিব্রত তাদের কর্মকাণ্ডে। সম্প্রতি নিয়মনীতি না মানায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ বাতিল করেছে তারা। সংগঠনের সভাপতি বলছেন, অনেক ক্ষেত্রেই সংগঠনের নিয়মনীতি তোয়াক্কা করছে না এসব প্রতিষ্ঠান।

গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা দায় পরিশোধে ব্যর্থ ই-অরেঞ্জের মালিকপক্ষ গাঢাকা দিয়েছে বলে খবর এসেছে গনমাধ্যমে। অন্যদিকে ইভ্যালির ৬৫ কোটি টাকা সম্পদের বিপরীতে কমপক্ষে ৪০৩ কোটি টাকা দায় রয়েছে বলে প্রাথমিক প্রতিবেদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রিয় ব্যাংক ও সংশ্লিষ্টদের উচিত এ ধরনের সব প্রতিষ্ঠানকে কঠোরভাবে মনিটরিং করা।

আরও পড়ুন:


গুলশানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিন তারকাসহ আহত ৫, দু’জন আইসিইউতে

জুমার খুতবার ফজিলত

মাসুদের সঙ্গে তালেবানের সমঝোতা


 

সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি গ্রাহকের দায় পরিশোধে ব্যর্থ ইভ্যালীতে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেয়ার কথা জানিয়েছে যমুনা গ্রুপ।

news24bd.tv/আলী