‘কোমা’য় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সেই ক্যাপ্টেন নওশাদ

‘কোমা’য় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সেই ক্যাপ্টেন নওশাদ

অনলাইন ডেস্ক

ওমান থেকে আসার পথে হঠাৎ মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইউম। এরপর জরুরি অবতরণ করা হয় ভারতের নাগপুর বিমানবন্দরে। সেখানেরই একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় নওশাদকে।

বর্তমানে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের সার্জিকেল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এসআইসিইউ) কোমায় আছেন বিমানের এই ক্যাপ্টেন।

হার্ট অ্যাটাকের পর তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। এখন তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, কিংসওয়ে হাসপাতালের হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধে। এসময় তিনি বলেন, ‘ক্যাপ্টেন নওশাদ কোমায় আছেন।

তার অবস্থা গুরুতর।

রোশান ফুলবান্ধে আরও বলেন, ‘প্রথমে ক্যাপ্টেন নওশাদের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। ক্যাপ্টেন নওশাদের হার্টের এনজিওগ্রাম করা হলে দুইটি রক্তনালীতে ব্লক পাওয়া যায়। তবে মাত্র ৬০-৭০ ভাগ। এটা প্রায় স্বাভাবিক। এরপর তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি আনরেসপনসিভ এবং আনকনশাস (কোন সাড়া দিচ্ছেন না, সম্পূর্ণ অচেতন) অবস্থায় আছেন। ’ 

তিনি বলেন, ‘দুপুরে তাকে প্রায় আধঘণ্টা সিপিআর (বুকে চাপ দেওয়াসহ নানা কৌশলে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা) দেওয়া হয়েছে। তবে চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রটোকল অনুযায়ী এ ধরনের রোগীকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। তাকে এসআইসিইউতে পাঠিয়ে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। ’

ক্যাপ্টেন নওশাদের স্ত্রী বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। সেখান থেকে তিনি নাগপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেস ডিরেক্টর ডা. সুভরজিৎ দাশগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান ডা. রঞ্জন বারোকার, এবং ডা. বীরেন্দ্র বেলেকারের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইউম।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। পরে ফ্লাইটটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।

আরও পড়ুন


অনুমতি নিয়ে অভিযান চালাতে হবে: মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ায় তালেবান

সূরা বাকারা: আয়াত ৪০-৪৩, বনী ইসরাইল গোত্রের পরিণতি

আমলা লীগ জয় বাংলা আমলাতন্ত্র জিন্দাবাদ

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ইয়ামিন ও সম্পাদক আদীব


আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন নওশাদ ফ্লাইটটিকে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।

কলকাতার এয়ার ট্রাাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান।

বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।

news24bd.tv এসএম