বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রবৃদ্ধি, বৈশাখী ভাতা, অবসর বোর্ড ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান ঘোষণা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে আনন্দ র্যালি ও পথ সভা করেছে উপজেলা শিক্ষক সমিতি। কিন্তু কোয়ার্টার কিলোমিটার হেঁটে ও পথসভায় পাঁচজনের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মাত্র আধা ঘন্টায় অনুষ্ঠানটি শেষ করা হয়। অথচ শিক্ষক সমিতি নিজেরাই উপজেলার ৪৫টি মাধ্যমিক ও ২০টি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করেছে এজন্য। এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সুধী সমাজের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে জানা গেছে, শিক্ষক সমিতির নির্দেশ না মেনে হাতে গোনা কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথারীতি খোলা রেখেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন, মাত্র আধা ঘণ্টার এই অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ে অর্ধ বেলা ক্লাশ চালানোর পর করতে পারতেন। এমনিতে চলমান জেএসসি পরীক্ষার কারণে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কেন্দ্র) ক্লাশ বন্ধ থাকে এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অল্প শিক্ষক দিয়েও ক্লাশ চলমান রেখেছে।
উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাতে এই র্যালি ও সভা করা হয়েছে। কিন্তু অল্প সময় এই আয়োজন করতে বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রউফ জানান, এ ব্যাপারে আমার কিছুই বলার নাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আনোয়ার পারভেজ জানান, আমার কাছে এ ব্যাপারে এসেছিল। কিন্তু আমি কোনো সিদ্ধান্ত দিইনি।
আনন্দ র্যালি বনপাড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হয়ে পৌর গেটে এসে শেষ হয়। সেখানে পথ সভায় বক্তব্য দেন- রেজাউল করিম, শামসুল আলম শাহী, সারোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান ও মোয়াজ্জেম হোসাইন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাসিম/তৌহিদ)
