ভাগ্নি অন্তঃসত্ত্বা, মামার বিরুদ্ধে মামলা!

প্রতীকী ছবি

ভাগ্নি অন্তঃসত্ত্বা, মামার বিরুদ্ধে মামলা!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ মা ও সৎ মামাকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মেয়েটি বর্তমানে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া পুকুরপাড় এলাকায়।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে মেয়েটির সৎ-মা রোজিনা আক্তার ও অভিযুক্ত হাসানের নামে মামলা করেছেন।

হাসান উপজেলার কচুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি উপজেলার একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় প্রায় চার মাস ধরে মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সে।

মামলার বিবরণে ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাত-আট বছর আগে মেয়েটির মা অন্যত্র বিয়ে করলে তার বাবা রোজিনা নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন।

মেয়েটির বাবা কয়েক বছর ধরে চাকরিসূত্রে সৌদি আরবে যান। সৎ-মা রোজিনা আক্তার বাড়িতে থাকার জন্য ভাই হাসানকে আনেন। হাসান একা ঘরে থাকলে স্বপ্নে তাকে বোবা ধরে এমন অজুহাতে রোজিনা মেয়েটিকে মামার ঘরেই থাকতে বলেন।

ওই মেয়েটি জানায়, বেশ কয়েকবার তার সৎ-মামা রাতে তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি সৎ-মাকে জানালে উল্টো বিষয়টি কাউকে না বলতে হুমকি-ধামকি দেন। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে সৎ-মা বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়েটিকে একটি স্থানীয় ক্লিনিকে নেয় তার স্বজনরা। আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে তার আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়ে।

মেয়েটির চাচার অভিযোগ, অভিযুক্ত হাসান ও তার সৎ-মা বিষয়টি পাত্তা দিচ্ছেন না। তারা মেয়েটিকে বাড়িতে রেখে বাবার বাড়ি চলে গেছেন।

ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন হাসান।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুঁইয়া বলেন, শুক্রবার রাতে ভিকটিম ও তার চাচা থানায় হাজির হয়ে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত খবর