ইয়েমেনে গুচ্ছ বোমার সাহায্যে হামলা চালিয়েছে সৌদি আরব। বার্তা সংস্থা তাসনিম রোববার এ কথা জানিয়েছে।
সংবাদে বলা হয়, দেশটির হাজ্জাহ প্রদেশের বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে ‘আবাস’ এলাকায় অন্তত ১৪ দফা গুচ্ছ বোমা ফেলা হয়েছে। হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা জানায়, ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমা এমন এক ধরনের অস্ত্র, যেগুলোকে সাধারণত বিমান, রকেট, মিসাইল ইত্যাদির সাহায্যে দূরবর্তী লক্ষ্যের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। এগুলো সাধারণ বোমার চেয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট হয়।
যেহেতু গুচ্ছ বোমা ছোড়ার জন্য মূলত বিমানই ব্যবহার করা হয়, তাই ওপর থেকে ছুড়ে দেওয়ার পর এগুলো নির্দিষ্ট কোনো সামরিক এলাকায় আঘাত না হেনে লোকালয়সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ওইসব এলাকাকে বসবাসের জন্য বিপজ্জনক করে তোলে। ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয় অসংখ্য বেসামরিক মানুষের।
ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমা সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটা হলো ছুড়ে দেওয়ার পর সবগুলো ‘বোম্বলেট’ বিস্ফোরিত হয় না। যুদ্ধের পরও অবিস্ফোরিত অবস্থায় সক্রিয় এসব বোম্বলেট থেকে যেতে পারে যুগের পর যুগ। পরবর্তী সময়ে যে কোনো অসতর্ক মুহূর্তে মানুষের স্পর্শে, অথবা অন্য কারণে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রচুর প্রাণহানি ঘটায়
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ ধরণের বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ। ২০০৮ সালে বিশ্বের ১১৯টি ভয়াবহ গুচ্ছ বোমা ব্যবহার নিষিদ্ধ করে একটি চুক্তিতে সই করেছে। তবে সৌদি আরব ও আমেরিকা এখন পর্যন্ত ওই চুক্তিতে সই করেনি।
২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে সৌদি আরব ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। এতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)