মেয়েকে গলা টিপে হত্যার পর কুয়ায় ফেলে বাবা-মা

সংগৃহীত ছবি

মেয়েকে গলা টিপে হত্যার পর কুয়ায় ফেলে বাবা-মা

অনলাইন ডেস্ক

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় কুয়া থেকে উদ্ধার করা দুই বছর বয়সী শিশু আয়েশা খাতুনের হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বাবা-মা। চিফ জুডিশিয়াল আদালতে এ বিষয়ে জবানবন্দিও দিয়েছেন তারা। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

তার হলেন- নিহত শিশুর মা আম্বিয়া খাতুন (২৮), বাবা বাদশা মিয়া (৩৫)।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় আম্বিয়া ও বাদশা মিয়াকে। আদালতের জবানবন্দিতে তারা নিজ সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।  চিফ জুডিশিয়াল আদালতের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের গিলাবই গ্রামে পানির কুয়ায় শিশু আয়েশা খাতুনের মরদেহ ভাসতে দেখে প্রতিবেশীরা।

পরে তারা ৯৯৯-এ কল দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কুয়া থেকে শিশুটির মরদেহটি উদ্ধার করেন। পরে নিহত শিশুর মা আম্বিয়া খাতুন (২৮), বাবা বাদশা মিয়া (৩৫) ও মামা তোফাজ্জল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান খান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পারিবারিক দ্বন্দ্বে নিজেদের সন্তানকে গলা টিপে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। পরে শিশুর বাবা ঘটনা ধামাচাপা দিতে পানির কুয়ায় মেয়ের মরদেহ ফেলে দেয়। সোমবার রাতে নিহত শিশুর দাদি জুবেদা খাতুন বাদী হয়ে নিজের ছেলে ও তার স্ত্রীকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

news24bd.tv/হারুন