হাতিয়ায় জলদস্যুদের গোলাগুলিতে নিহত ৩, আটকরা কারাগারে

প্রতীকী ছবি

হাতিয়ায় জলদস্যুদের গোলাগুলিতে নিহত ৩, আটকরা কারাগারে

নোয়াখালী প্রতিনিধি

আধিপত্য নিয়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘাসিয়ার চরে দুই জলদস্যু বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ডাকাতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে তিন দস্যুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তেরর জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহতরা হলেন- ফখরুল বাহিনীর সদস্য সুবর্ণচর উপজেলার চর জিয়া উদ্দিনের আবুল হোসেনের ছেলে মো. কবির হোসেন, হাতিয়ার চর ঘাসিয়ার আবদুল কাইউমের ছেলে মো. শাহরাজ ও রামগতি উপজেলার আবদুল্লাপুর গ্রামের আবদুলের ছেলে নবীর উদ্দীন প্রকাশ নূরনবী। গোলাগোলির ঘটনায় কোস্টগার্ড ও পুলিশ ছয় দস্যূকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে কোস্টগার্ড হাতিয়া স্টেশন কমান্ডার বাবুল আক্তার বাদি হয়ে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

এর আগে বুধবার ভোররাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জলদস্যু ফোকরা ও ফখরুল বাহিনীর মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

এতে ফখরুল বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হন। আরও কয়েকজন আহত হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের মিডিয়া কর্মকর্তা শফিউল কিঞ্জল জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঘাসিয়ার চরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে জলদস্যু খোকনের বাহিনী। কিছুদিন আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে খোকন। তখন চরের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আরেক জলদস্যু ফখরুল ইসলামের হাতে।

সম্প্রতি খোকন জামিনে বেরিয়ে পুনরায় চরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে ফখরুলের লোকজনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জেরে ভোর রাতের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন ৩ টি অভিযানিক দল চর ঘাসিয়ায় অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় ডাকাত দল কোস্টগার্ডের উপস্থিত টের পেয়ে বিছিন্ন হয়ে নৌকাযোগে পালানোর চেষ্টা করে। কোস্টগার্ডের দ্রুতগতি সম্পন্ন বোট নিয়ে অভিযানিক দল তাদের পিছু ধাওয়া করে।

একপর্যায়ে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীর চর আব্দুল্লাহ থেকে ডাকাত দলকে তিনটি এক নলা বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা গোলা, ছয়টি রামদা এবং পাঁচটি বল্লমসহ কুখ্যাত ডাকাত খোকন বাহিনীর অন্যতম ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন জানান, এ ঘটনায় কোস্টগার্ড বাদি হয়ে মামলা করেছে। গ্রেপ্তার ডাকাতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তেরর জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক