সৎ মেয়েকে যৌন হয়রানি করায় খুন হন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক

প্রতীকী ছবি

সৎ মেয়েকে যৌন হয়রানি করায় খুন হন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সৎ মেয়েকে যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের চেষ্টা করায় কামরাঙ্গীর চরে খুন হন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক ফজল মিয়া। গেল মাসের ৩০ তারিখ তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিকেলে লালবাগ উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানায় পুলিশ।  

এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফজল মিয়ার পঞ্চম স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ও ফাতেমার প্রথম স্বামী গাজী রহমান এবং তের বছরের কন্যা মিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাথি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

ফাতেমাকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী ফজল মিয়া বিকৃত যৌন রুচির মানুষ ছিলেন। পেশায় ভিক্ষাবৃত্তি করলে এরই মধ্যে পাঁচটি বিয়ে করেছিলেন তিনি। ভিক্ষাবৃত্তি করতে গিয়ে বন্ধুত্ব গাজী রহমানের সঙ্গে।

এরপর স্ত্রীর সঙ্গে গাজী রহমানের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ফাতেমাকে সে নিজেই বিয়ে করে।  

এরপরই নজর পড়ে ফাতেমার আগের ঘরের সন্তান ১৩ বছরের কন্যা মৃতুর ওপর। প্রায় সময়ই যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের চেষ্টা করত বলে জিজ্ঞাসা বাদে জানতে পেরেছে পুলিশ। ফজল মিয়ার এমন বিকৃত যৌন আকাঙ্ক্ষা সহ্য করতে না পেরে প্রথমে শ্বাস রোধে হত্যা ও পরে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা দেয় গ্রেপ্তারকৃতরা।  

ডিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার জাফর হোসেন বলেন, প্রতিবন্ধী ফজল মিয়াকে হত্যা ঘটনায় শেরপুর জেলার ঝিনাইগাথি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসা বাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে আসামিরা।

news24bd.tv/কামরুল