সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধভাবে নির্বাচন করা কমিশন ও প্রশাসনের সমন্বিত দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে।
শনিবার সারাদেশের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সাথে বৈঠকের সূচনায় তিনি একথা বলেন। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন ৬৪ জেলার সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত আছেন অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকতার হোসেন। । শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অডিটরিয়াম এ বৈঠক শুরু হয়।জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারদের জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘পদাধিকারবলে আপনারা জনগণের কাছাকাছি থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন, ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন, ৫ নভেম্বর ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন এবং ২ নভেম্বর স্থানীয় সরকারের বেশ কিছু নির্বাচন রয়েছে।
প্রসঙ্গত কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বর্তমান কমিশন গঠন হওয়ার পর মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৃহৎ পরিসরে প্রথম এ বৈঠক হচ্ছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আচরণবিধি লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাছে এসেছে। বুধবারও সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দিয়েছে। এরপর ওইদিনই ইসি থেকে সব ডিসি-এসপিদের কঠোর নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
শনিবারের বৈঠকের কার্যপত্র সূত্রে জানা গেছে, এতে ফরিদপুর-২ ও গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন, ৫৭টি জেলা পরিষদ নির্বাচনসহ তফসিল ঘোষিত বেশ কিছু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বিষয়গুলো আনা হয়েছে।
কার্যপত্রে এসব নির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়গুলো আনা হয়েছে। ভোলা ও ফেনীর সবগুলো পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত ও উচ্চ আদালতের আদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এগুলো কার্যপত্রে আনা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, সব ধরনের নির্বাচন পরিচালনায় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা ও সম্পৃক্ততা রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও সামনে জেলা পরিষদ এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচন আছে, তাই সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কমিশন মাঠের রিপোর্ট বুঝতে চায়। জেলা পর্যায়ে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের চ্যালেঞ্জগুলো জানতে চায়। এ কারণে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনসহ সব ধরনের নির্বাচন দক্ষতার সঙ্গে সম্মিলিতভাবে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময়, সমন্বয় সাধন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করাই হবে এই আলোচনার উদ্দেশ্য।
এছাড়া নির্বাচন পরিচালনা করতে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো উত্তরণের পথ বের করতে মতবিনিময় করবে কমিশন।
news24bd.tv/আলী