বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনের প্রস্তুতি

সংগৃহীত ছবি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনের প্রস্তুতি

রতন কুমার দে, বান্দরবন প্রতিনিধি

বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে বান্দরবনে চলছে বর্ণাঢ্য আয়োজন। প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে রবিবার (৯ অক্টোবর ) থেকে শুরু হচ্ছে  দুই দিনব্যাপী ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে পাহাড়ে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।

প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ফানুস ওড়ানো, মহারথ টানা ও পিঠা তৈরি।

এ উপলক্ষে পাহাড়ের প্রতিটি ঘরে রাত জেগে তরুণ-তরুণীরা বৈচিত্র্যময় নানা ধরনের পিঠাপুলি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ উপলক্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকদের কেনাকাটায় ব্যস্ততা দেখা গেছে।

আষাঢ়ী পূর্ণিমার পরের দিন থেকে টানা তিনমাসের বর্ষাবাস শেষে নর-নারীরা বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে পঞ্চশিল, অষ্টশিল ও দশশিল গ্রহণ করেন। প্রবারণা পূর্ণিমাকে মারমারা মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ হিসেবে পালন করে থাকে।

এ সময় সকল অহিংসা ও পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মন্ত্রে দীক্ষিত হন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মানুসারীরা।

এদিকে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকে বিভিন্ন বিহারে বিহারে চলবে ধর্মীয় প্রার্থনা। ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে অর্থ ও অন্নদান, ফুল পূজাসহ চলবে নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা। বিভিন্ন উপাসক-উপাসিকারা গ্রহণ করছেন সকাল থেকে অষ্টশিল ও দশশিল।

উপাসক-উপাসিকারা জানিয়েছেন, বিহারে বিহারে দেয়া হবে ধর্মীয় দেশনা। জগতের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনায় করা হবে বিশেষ প্রার্থনা। সুখ-শান্তি লাভ ও পারিবারিক সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করবেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। দায়ক-দায়িকারা মোমবাতি, ধুপকাটি প্রজ্বলন আর বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ছোয়াইং (বিভিন্ন ধরনের জল ও খাবার) প্রদানের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবেন মহানন্দে।  

বৌদ্ধ ধর্ম মতে, প্রবারণা পূর্ণিমার দিনই রাজকুমার সিদ্ধার্থের মাতৃগর্ভে প্রতিসন্দি গ্রহণ, গৃহত্যাগ ও ধর্মচক্র প্রবর্তন সংঘটিত হয়েছিল। তাই প্রতিটি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে দিনটি বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছে আজও।

news24bd.tv/হারুন