‘আমি এখন ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করবো। আমার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাবো। ’ ফেসবুকে এমন কথা লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে নবম শ্রেণির ছাত্র নিহাত। মঙ্গলবার ভোর রাতে নরসিংদী পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমুল আহাম্মেদ নিহাত (২৪) দত্তপাড়া এলাকার কবির আহাম্মেদের ছেলে। সে নরসিংদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
জানা গেছে, নরসিংদীতে মা-বাবা ও দাদা-দাদিকে সন্ত্রাসীরা লাঞ্ছিত করার গ্লানি সইতে না পেরে 'প্রতিবাদ' জানাতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে নিহাত।
এ ঘটনায় হত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে নিহতের বাবা ৫ জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদের দুই দিন পর বিকেলে নিহত নিহাত বন্ধুদের নিয়ে পাশের বাড়িতে বারবি কিউ পার্টি করতে যায়। একই সময় এলাকার সন্ত্রাসী তুষার, জুম্মান রাব্বি , রুপক সেখানে যায়। এসময় নিহাত তাদের চলে যেতে বলেন। তাতে তারা রাজি হয়নি। ওই সময় বাড়ির মালিক সবাইকে ছাঁদ থেকে নামিয়ে দেয়। এতে নিহত নাজমুল আহাম্মেদ নিহাতের উপর ক্ষিপ্ত হয় সন্ত্রাসীরা। এরই জের ধরে সন্ত্রাসীরা নিহাতকে মারপিট করেন। খবর পেয়ে নিহাতের মা-বাবা ও দাদা-দাদি সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের সবাইকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। পরে মনের দু:খে ভোর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে নিহাত।
মৃত্যুর পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে একজনের সঙ্গে কথপোকথনের সময় নিহাত বলেন, আমি এখন ফাঁসিতে ঝুলবো। সন্ত্রাসীরা আমার আব্বুকেও অপমান করেছে। আমার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাবো। দেখা হবে কবরে।
নিহতের বাবা কবির আহাম্মেদ বলেন, সন্ত্রাসী তুষার, জুম্মান রাব্বি, রুপক আমার ছেলেকে মারধোর করছিল। খবর পেয়ে আমি ও আমার মা-বাবা সহ পরিবারের লোকজন তাকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাদের সবাইকে মারপিট করে। এই অপমান সইতে না পেরে আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। তার মৃত্যুর জন্য সন্ত্রাসীরাই দায়ী। আমি এর বিচার চাই।
নরসিংদী শহর ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করছে পুলিশ।