পাহাড়ে পর্যটকের ঢল

পাহাড়ে পর্যটকের ঢল

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে নামছে পর্যটকের ঢল। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে পর্যটক আগমন। টানা তিনদিনের ছুটিকে কাজে লাগাতে পর্যটন মুখি হচ্ছে দেশি-বিদেশি পর্যকরা। এদিকে মানুষের অরণ্যে পরিণত হয়েছে রাঙামাটি।

শুধু রাঙামাটি শহর নয়, পর্যটক উৎসবে মেতেছে বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নসহ অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দবান। পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। অগণিত পর্যটক আগমনে তিল পরিমাণ জায়গা খালি নেই কোথাও। অগ্রীম বুকিং রয়েছে আবসিক হোটেল, মোটেল, সরকারি রেস্ট হাউসগুলো।

কোথাও রুম খালি নেই। সড়কে, সড়কে ভ্রমণ পিপাসুদের গাড়ির বহরের ভিড় যেন লেগে আছে।

সাজেক রিসোর্ট ও কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিং থাং জাওয়া লুসাই জেরি বলেন, সম্প্রতি সাজেকে অসংখ্য পর্যটক এসেছেন। কোনো রিসোর্ট ও কটেজ খালি নেই।

অন্যদিকে রাঙামাটির শহর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো ছিল লোকে লোকারণ্যে ভরপুর। প্রকৃতির টানে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আগত পর্যটকরা রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝর্ণা, পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো পার্ক ও কাপ্তাই-আসামবস্তী সড়কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কাপ্তাই হ্রদ নৌ-ভ্রমণের আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছে। আবার কেউ প্রকৃতিকে উজাড়
করে দিচ্ছে নিজেকে।

সাজেকে বেড়াতে আসা মো. মামুন জানায়, একই চিত্র ছিল সাজেক ভ্যালীতে। হাজারো মানুষের পাদভারে উৎসবের নগরিতে পরিণত হয় সাজেকের পাহাড়ি জনপদ। মীতের উষতায় সবুজ পাহাড়ের বুকচিরে উড়ে বেড়ানো সুভ্র সাদা মেঘের ভেলায় যেন ভেসে বেড়াচ্ছে পর্যটকরা। তবে অগণিত পর্যটকদের কারণে ধারণ ক্ষমতা হারিয়েছে হোটেল মোটেলগুলো। তবুও আনন্দের কমতি ছিল না।

রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সর ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, রাঙামাটিতে বেড়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রচুর। রাঙামাটি কমপ্লেক্সের পর্যটন মোটেলের সবগুলো রুম ৮০ভাগ বুকিং রয়েছে। আর ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটক আসছে অগণিত। শুধু দেশের আশপাশের জেলার পর্যটকরাই নয়-এখানে আসছে বিদেশি পর্যটকও।

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর