হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল রমিজ রাজাকে

সংগৃহীত ছবি

হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল রমিজ রাজাকে

অনলাইন ডেস্ক

ঘরের মাঠে ইংলিশদের বিপক্ষে লজ্জাজনক টেস্ট সিরিজ হারের পর দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান রমিজ রাজাকে। তার জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন নাজাম শেঠি। তবে গত কয়েকদিন ধরেই এই দুই জনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে সরগরম পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গন। যার সবশেষ খবর হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল রমিজ রাজাকে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ লোক হওয়ায় রমিজ রাজার বিদায় আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল অনেকটা। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। ইমার খানের বিদায়ের পর টিকতে পারেননি তিনিও। তার সাথে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার নির্বাচক প্যানেলও।

অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শহীদ আফ্রিদি, আবদুল রাজ্জাক ও রাও ইফতিখার আনজুম।

দায়িত্বে রদবদল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে দুটি পক্ষ সৃষ্টি করেছে। দুই গ্রুপের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি কথার লড়াই। বরখাস্ত হওয়ার পর থেকেই রমিজ নতুন প্রধান নাজাম শেঠি ও তার সঙ্গীদের নিয়ে নানা রকমের কথা বলে যাচ্ছেন। পাল্টা দিচ্ছেন নাজাম শেঠির দলের লোকেরাও।

সমালোচনার অংশ হিসেবে উঠে আসে দায়িত্বে থাকাকালে পিসিবির কাছ থেকে রমিজের নেওয়া বাড়তি সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরের সময়ে তার বুলেটপ্রুফ গাড়ির ব্যবহার নিয়ে কথা হচ্ছে বেশ। এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন রমিজও। জানালেন, তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেই বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করেছেন।  

এ প্রসঙ্গে রমিজ বলেন, ‘গাড়িটা পিসিবির, আমার কেনা নয়। আমার পরে যারা দায়িত্বে এসেছে, তারাও ব্যবহার করতে পারে। আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। হত্যার হুমকি ছাড়া আপনি বুলেটপ্রুফ গাড়ি পাবেন না। ’

নিরাপত্তার স্বার্থে সেই হুমকির বিষয়টি খোলাসা করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন রমিজ, ‘সেই হুমকির তথ্য আমি প্রকাশ করতে পারব না। গত মার্চে অস্ট্রেলিয়া যখন পাকিস্তানে এসেছিল, তখন আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। ডিআইজি সাহেব তখন আমার বাড়িতে আসে। পুরো বিষয় নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে। ’

এর আগে দায়িতে থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পাকিস্তান সরকার ও পিসিবি প্রধানের সমালোচনা করেছিলেন রমিজ। তিনি বলেছিলেন ‘পাকিস্তান সরকার নাজাম শেঠিকে দায়িত্ব দিতে একজন টেস্ট ক্রিকেটারকে সরিয়ে দিয়েছে, যা খুবই অসম্মানজনক। আমার জীবনে এমন কিছু দেখিনি। তারা ক্রিকেট বোর্ডে একপ্রকার আক্রমণই করেছে। এমনকি আমার জিনিসপত্রগুলো নেওয়ারও সুযোগ দেয়নি। ১৭ জনের একটি দল অফিসে আসে। তাদের ভাব দেখে মনে হচ্ছিল, অফিস তল্লাশি করতে যেন ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির লোকেরা এসেছে। ’

news24bd.tv/আমিরুল