রমজানে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহের আশ্বাস ওয়াসা এমডির

সংগৃহীত ছবি

রমজানে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহের আশ্বাস ওয়াসা এমডির

অনলাইন ডেস্ক

রমজানে ঢাকা শহরে পানির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঢাকা ওয়াসা। এ জন্য সব পানি শোধানাগার ও পানির পাম্পসমূহ নিরবচ্ছিন্নভাবে ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। লোডশেডিংয়ের সময় পানির পাম্পগুলো ডুয়েল সোর্স বিদ্যুৎলাইন, ফিক্সড জেনারেটর, মোবাইল জেনারেটরের মাধ্যমে চালু রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।  

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনে আজ শনিবার দুপুরে রমজানে পানি সরবরাহ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান।

 

তাকসিম এ খান বলেন, ‘সব কটি জোনাল অফিসে পর্যাপ্ত পানির গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গাড়ির মাধ্যমে চাহিদাকৃত স্থানে দ্রুত পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে মড্স জোনের বিভিন্ন সুবিধাজনক পাম্পে স্মার্ট হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হয়েছে। ’ 

তাকসিম এ খান জানান, রমজান উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে জনসমাগম স্থান যেমন—গুলিস্তান, ফার্মগেট, মহাখালী, গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডসহ এরূপ সব জোনের বিভিন্ন স্থানে ইফতার ও সাহরির সময় প্লাস্টিক ট্যাংক/ট্রলি স্থাপন করে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে ঢাকা ওয়াসা।  

রাজধানীর মসজিদগুলোতে পানি সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তাকসিম এ খান বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে পানি সরবরাহের জন্য ঢাকা ওয়াসায় ৪৮টি পানির গাড়ি এবং ১৭টি ট্রাক্টর প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

লোডশেডিংয়ের সময় স্ট্যান্ডবাই পাওয়ার সোর্স হিসেবে ৩৮০টি ফিক্সড জেনারেটর এবং ১৯টি মোবাইল জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ’ 

অভিযোগ এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ‘ওয়াসালিংক-১৬১৬২’ এবং ১১টি অভিযোগকেন্দ্র ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। মড্স জোনের পানির পাম্প মনিটরিং করার জন্য বিদ্যমান ১০টি অ্যাডভাইজরি ও মনিটরিং টিম তৎপর থাকবে বলেও জানান তিনি।  

ওয়াসার এমডি আরও বলেন, ‘রমজানে পানি নিয়ে আশা করি কোনো সমস্যা দেখা দেবে না। তবে, রমজান মাসে পানি ব্যবহারের প্যাটার্ন কিছুটা বদলে যায়। এ ছাড়া গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় উৎপাদন ক্ষেত্রবিশেষে কমে যেতে পারে। কোনো কোনো সময় গভীর নলকূপ/পাম্প মোটর রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। ’ 

এ সময় রাজধানীবাসীকে পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার অনুরোধ করেছেন তাকসিম এ খান। তিনি বলেন, ‘টাকা দিয়ে পানি কিনলেই হবে না, সাশ্রয়ীও হতে হবে। ’ 

ওয়াসার এক গাড়িতে পরিমাণ অনুযায়ী পানির মূল্য ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তবে গাড়িতে পানি সরবরাহের সময় বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় জানতে চাইলে ওয়াসার এমডি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পানির গাড়ি বাড়তি টাকা চাইলে জানান, সে পরদিন থেকে ঢাকা ওয়াসায় থাকবে না। ’ 

রাজনৈতিক কারণে অনেক কর্মচারী ওয়াসায় সুবিধা ভোগ করেন, কেউ আবার অসুবিধায় ভোগেন—এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে কোনো কর্মচারীকে বিচার করা হয় না। ওয়াসা আইন অনুযায়ী চলে। ’

news24bd.tv/আলী