প্রথম আলো পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সচেতন চিকিৎসক সমাজ। শনিবার দুপুর ১২ টায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, স্বাচিপ সভাপতি ডা. মো. আমাল উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মো. কাজী শহিদুল আলম, বিএসএমএমইউ'র ভাইস-চ্যাম্পের অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রো-ভাইস চ্যালোর অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, সাবেক প্রো-ভাইস চালের অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ শিকদার, অধ্যাপক ডা. অনুরুল হক সাত এবং বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন স্বাচিপের মহাসচির অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূচিত বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাযজ্ঞকে বাঁধাগ্রস্থ করা এবং চলমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা এই জঘন্য অপসংবাদ প্রকাশ করেছে এবং তিনি প্রথম আলো পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।
অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেন, একটি শিশুর হাতে দশ টাকা দিয়ে তাকে জীবনের শুরুতেইতেই দুর্নীতিবাজ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রলুব্ধ করেছে এবং এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে প্রথম আলো। এই অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে জনগণকে স্বোচ্চার হতে হবে।
স্বাচিপের সভাপতি ডা. মো. হামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত প্রথম আলো পত্রিকায় কথিত দিনমজুরকে নিয়ে প্রকাশিত ক্যাপশনটি নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি নয়। তাই অসৎউদ্দেশ্য প্রণোদিত ক্যাপশনটি প্রচারের জন্য প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গহণ করা উচিৎ।
