কুরবানি করা গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুটের মূল্য ১২০ টাকা এবং খাসির চামড়া ৭০ টাকা বর্গফুট নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ। মঙ্গলবার (১৬ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ এর পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, কুরবানির চামড়া বিক্রয়ের অর্থ এতিম ও গরিবের হক। ২০১৪ সাল থেকে প্রতি বছরই বাংলাদেশে চামড়ার সরকার নির্ধারিত মূল্য কমানো হয়েছে।
চামড়ার দাম প্রতিবছর কমতে থাকায় এরই মধ্যে বহু মাদ্রাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।গত কয়েক বছর যাবত কুরবানির পূর্বে চামড়ার মূল্য পানির দরে নির্ধারণ করে গরিব এবং দ্বীনিশিক্ষা কেন্দ্র মাদরাসাগুলোকে ঠকানো হচ্ছে। তিনি বলেন, গরীবের হক মেরে চামড়া সিন্ডিকেটকে লাভবান করতে সরকারের একটি গোষ্ঠী চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে যাচ্ছে। বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন কোনো মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারে না।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, দেশে সবকিছুর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হলেও কুরবানির গরুর চামড়ার মূল্য প্রতি বর্গফুট ১২০ টাকা এবং খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ৭০ টাকা করতে হবে। অন্যথায় দেশের জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণ যুক্ত গরুর চামড়া ৯০ টাকা ও ঢাকার বাইরে ৮০ টাকা পর্যন্ত দামে কেনা হয়। এখান থেকে চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি না করে কমিয়ে দেয়া ইসলাম, মুসলমান, মাদরাসা বিরোধী ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না। তারা এগুলো করতে গিয়ে গরিবের হক নষ্ট করছে।