যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে বাধাহীন সুবিধা চায় বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে বাধাহীন সুবিধা চায় বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে বাংলাদেশ বাধাহীন সুবিধা চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ। রোববার (২১ মে) বিকেলে ইউনাইটেড স্টেট ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রেনডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তারা এ আগ্রহের কথা বলেন। এসময় বাণিজ্য, কৃষি, শ্রম ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য সচিব বলেন, গত টিকফা মিটিংয়ে তাদের কটনের বিষয়ে আমরা ফরমালি ডিমান্ড করেছি। এর আগেও বিভিন্ন সময় ইনফরমালি বিজিএমইএ, বিকেএমইএ যখন ইউএস গিয়েছে তখন হয়তো আলোচনা করেছে। আগে থেকেই তারা দাবি তুলেছে। ফরমালি গত ডিসেম্বরে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে আমরা বলেছিলাম ফিউমিকেশনের বিষয়টি আমরা রিলাক্স করবো।

কিন্তু তোমাদেরও আমাকে কিছু দিতে হবে। আমরা তোমাদের দিয়ে দিলাম কিন্তু তোমরা বাংলাদেশকে কী দিচ্ছ? এজন্য তাদের বলেছি তোমাদের কটন যেন বাড়ে আর আমাদের রপ্তানি যেন বাধাহীন হয়।

ফিউমিকেশনের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে তিনি বলেন, একটা হচ্ছে ইউএস; আরেকটা হচ্ছে আদারদেন ইউএস। এটা করা হয় সাইন্টিফিক ফাইন্ডিংসের ওপর। ইউএস কটনের বিষয়ে আমাদের একটা ট্যাকনিক্যাল টিম গিয়ে পরীক্ষা করে এসেছে। তারা বলেছে এটা একটু শিথিল করা যায়। এক্ষেত্রে আমরা একটা সার্টিফিকেট নেবো। কিন্তু অন্য মার্কেটগুলো দেখা হয়নি। তাই এখন ইউএস কটনের ক্ষেত্রে ফিউমিকেশনের দরকার হবে না। তবে অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে এ সিস্টেম রাখা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যদি কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ভিজিট করে যদি নিশ্চিত হয় যে এই ফিউমিকেশনের বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নাই, তখন তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আছে। এই ধরনের বিধি নিষেধের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ থাকতে হয়।

তপন কান্তি আরও বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত রপ্তানি বাড়ানোর জন্য আলোচনা করছি। তাদের সাথে আলোচনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও রপ্তানির কথা এসেছে। এক্ষেত্রে আমাদের রপ্তানি বহুমুখীকরণ নিয়ে যে সমস্যা আছে সেটা নিয়ে প্রত্যেক ফোরামে আলোচনা করছি। সেখানে প্লাস্টিক, ফার্সাসিটিক্যাল, লেদারগুডস, অ্যাগ্রোপ্রসেসিং, জুট এসব বিষয় রয়েছে।

জিএসপির বিষয়ে সচিব বলেন, জিএসপি শব্দটি উচ্চারণ হয়নি। তবে প্রিফারেন্স মার্কেট এক্সেস সুবিধা তো চাচ্ছি। এছাড়া ডব্লিউটিএ তে এলডিসি দেশগুলোর জন্য মার্কেট এক্সেসের যে মেয়াদ বৃদ্ধি। যেমন আমাদের ২০২৬ সালের পরে জিএসপি সুবিধা থাকবে না। সেটার জন্য আমরা বলেছি সেখানে যেন তারা আমাদের সাপোর্ট দেয়।

বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, আমেরিকা যদি আমাদের ডব্লিউটিএতে সার্পোট দেয় তাহলে অন্য দেশে আমরা সুবিধা পাবো। ডব্লিউটিএ যদি সিদ্ধান্ত না হয় অন্য দেশগুলো দেবে না। আমেরিকা যদি না দেয় অন্য দেশগুলোয় আমরা পাবো।

news24bd.tv/FA