বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তীব্র বজ্রপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস

সংগৃহীত ছবি

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তীব্র বজ্রপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস

অনলাইন ডেস্ক

মঙ্গলবার (২৩ মে) থেকে আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গেরে উপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাত বয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগে এ সময় প্রচুর ঝড় ও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।  

তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে প্রচুর ঝড় বৃষ্টি শুরু হতে পারে। আর বুধবার দেশের অধিকাংশ জেলায় কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাত বয়ে যেতে পারে।

কালবৈশাখী ঝড়ের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকবে রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে। সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঝুঁকি রয়েছে রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের সকল জেলায়, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। ঝড় ও বৃষ্টি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।  

তিনি বলেন, ২ থেকে ৫ জুন মৌসুমি বায়ু উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হওয়া শুরু হতে পারে।

 

তবে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বলেন, এখন যেমন বৃষ্টি ও ঝড় হচ্ছে তেমনই হবে। তবে এটি বাড়তে পারে।  

তিনি বলেন, এ মাসের শেষ সপ্তাহ বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে মৌসুমি বায়ু দেশে প্রবেশ করতে শুরু করবে। এটি টেকনাফ হয়ে সাধারণত প্রবেশ করে। অনেক সময় ৪-৫ দিন সময় লেগে যায়। এই মৌসুমি বায়ু প্রবেশের কারণে ঝড়টা কমে যাবে। বৃষ্টি দীর্ঘক্ষণ হবে। এখন যেমন অল্প সময়ে বেশি বৃষ্টি হয় তখন হালকা বৃষ্টি হবে অনেক সময় ধরে। এখন যেমন কোন স্টেশনে ৪০-৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় তখন এটি ২০০ বা ৩০০ মিলিমিটারের চেয়ে বেশি পরিমাণ হবে।  

আবহাওয়াবিদরা জানান, মৌসুমি বায়ু দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জলবায়ুতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী বায়ুপ্রবাহ। দক্ষিণ এশিয়ায় মৌসুমি বায়ুচক্রটির সূত্রপাত ঘটে হিমালয় পর্বতমালা সৃষ্টির সময় থেকে। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের দিকও পরিবর্তিত হয়।

news24bd.tv/aa