থানাকে টাউট-বাটপার ও দালালমুক্ত ঘোষণা!

সংগৃহীত ছবি

থানাকে টাউট-বাটপার ও দালালমুক্ত ঘোষণা!

অনলাইন ডেস্ক

গাজীপুরের শ্রীপুর থানাকে টাউট, বাটপার ও দালালমুক্ত ঘোষণা করে সাইনবোর্ড সাঁটিয়েছে পুলিশ। শ্রীপুর মডেল থানার পক্ষ থেকে বুধবার এ সাইনবোর্ডটি সাঁটানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  

জানা গেছে, কিছু কিছু ব্যক্তি থানায় দালালি করে আসছিল। তাদের মধ্যে মুখোশপড়া সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার গুটি কয়েক মানুষও রয়েছে।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে থানা পুলিশের বাধা না দেওয়া বা সোর্সের নামে সহযোগিতা করায় দালাল শ্রেণির লোকজনের সংখ্যাও সময়ভেদে কমবেশি হয়। ফলে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকারও হয়। পুলিশের ওপর আক্রমণ ও হয়রানির ঘটনাও ঘটেছে। টাউট, বাটপার ও দালালমুক্ত করার ঘটনা পুরনো।
এ উদ্যোগ নতুন করে শ্রীপুরবাসীর মনে আশার সঞ্চার করেছে বলে মন্তব্য অনেকের। তবে কাজে প্রমাণ দেখতে চান বলেও মন্তব্য করেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সাইনবোর্ডের বিষয়টি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

শ্রীপুরের তেলিহাটী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী মনসুর মানিক বলেন, উদ্যোগটি ভালো। পুলিশ আন্তরিক হলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদকসেবী নির্মূল করতে পারবে। এটি বাস্তবায়ন করতে হলে কাজে তার প্রতিফলন দেখাতে হবে। এরকম পরিবেশ সৃষ্টি হলে সমাজের সহজ, সরল, অসহায় মানুষ হয়রানি থেকে রক্ষা পাবে এবং ন্যায় বিচার পাবে। যারা টাউট-বাটপার-দালাল এটা চিহ্নিত করার দায়িত্বও পুলিশের।

বরমী ইউপির চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এতে বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ উপকৃত হবে। হয়রানির শিকার থেকে রক্ষা পাবে অনেক অসহায় নির্যাতিত মানুষ।

উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কাওরাইদ ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ বলেন, উদ্যোগটা ভালো, তবে কাজে প্রমাণ দিতে হবে।

অ্যাডভোকেট ফরিদ হোসেন আকন্দ বলেন, নতুন ওসি হিসেবে যোগদানের পর কয়েকটি ঘটনা প্রত্যক্ষ করে কিছু নমুনা পাওয়া গেছে। ওসি ইচ্ছা করলেই তার পুলিশ সদস্যদেরকে নিয়ে মানুষকে উন্নত সেবা দিতে পারবেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইনবোর্ড বিষয়ের প্রেক্ষিতে অনেকে মন্তব্য করেছেন চাঁদাবাজ, ঘুষমুক্ত ঘোষণাটা থাকলে ভালো হতো। তবে কাজে প্রমাণ চেয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্যকারীরাও।

শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামাল ফকির বলেন, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি অবশ্যই চাই শ্রীপুর মডেল থানা টাউট, বাটপার ও দালাল মুক্ত হোক। অতীতে শ্রীপুর থানা কখনো এসব মুক্ত ছিল না, এটা যেন বলার জন্য বলা না হয়। নিঃসন্দেহে এটি উনার ভালো উদ্যোগ। আমরা সচেতন মহল থানা কর্মকর্তার এ ঘোষণার বাস্তবায়না দেখতে চাই। সচেতন নাগরিক হিসেবে উনার এ ঘোষনায় শতভাগ সহযোগীতা থাকবে।

শ্রীপুর থানার ওসি আবুল ফজল মো. নাসিম বলেন, দেড় মাসের বেশি সময় হয়েছে এ থানায় যোগদান করেছি। ভুক্তভোগীরা নিজেই তাদের জিডি বা অভিযোগ সরাসরি থানায় এসে জমা দিতে পারবেন। তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছোটখাটো যে কোনো সমস্যা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করবে পুলিশ। আমি বদলি হয়ে গেলে নতুন কোনো অফিসার আসলে শুধু ধারাবাহিকতাই নয়, শ্রীপুরবাসীকে আরো ভালো কিছু দিবেন বলে আশা করি।

news24bd.tv/aa