বাগেরহাটের মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রোববার বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত নম্বর-৬ এ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মো. ইকরাম হোসেন আদালতে প্রতিবেদনে জমা দিয়েছেন।
পিবিআই জানায়, বিগত ২০২১ সালে মোংলা বন্দর থেকে বিভিন্ন দপ্তরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগের স্বাক্ষরিত অন্তত ৮টি চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত লোগো কলম দিয়ে কেটে প্রেরণ করেন।
মোংলা বন্দরের চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগ এনে গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন রামপাল উপজেলা তাঁতি লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান শেখ।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পিবিআই বাগেরহাটের পুলিশ পরিদর্শক মো. ইকরাম হোসেন মামলাটি তদন্ত শুরু করেন।
পিবিআইএর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. ইকরাম হোসেন জানান, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জন্মশত বার্ষিকী’ উপলক্ষে সরকারের জারিকৃত লোগো কলম দিয়ে কেটে বিকৃতি করেছেন। এছাড়া তিনি সাক্ষীদের কাছে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে মানহানিকর ও বিকৃত কথাবার্তা বলেছেন।
তিনি জানান, ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ,দাপ্তরিক কাগজপত্রসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা শেষে এ ঘটনায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগের বিরুদ্ধে রোববার সকালে
আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
মামলার বাদি রামপাল উপজেলা তাঁতি লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান শেখ জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। সেই বঙ্গবন্ধু যে মানহানি করেছে, তাকে চাকরিচ্যুতিসহ কঠোর শাস্তির আওতায় আনার জানাই। এ জন্য আমি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি।
বাদিপক্ষের আইনজীবী ফকির ইফতেখারুল ইসলাম রানা জানান, মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। ধার্য্য তারিখে আদালত পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন। আশা করি আমরা ন্যায়বিচার পাবো।
