জামাইষষ্ঠীতে শাশুড়ির মার খেয়ে হাসপাতালে জামাই

সংগৃহীত ছবি

জামাইষষ্ঠীতে শাশুড়ির মার খেয়ে হাসপাতালে জামাই

অনলাইন ডেস্ক

ধুলোয় লুটোপুটি খাচ্ছে চওড়া পাড়ের শান্তিপুরী তাঁতের শাড়ি। পাকা আম ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে উঠানে। জামাইও গড়াগড়ি খাচ্ছেন মাটিতে!  জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ি এসে শাশুড়ির ছোড়া ইটে গুরুতর জখম হলেন জামাই। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ভারতের নদিয়ার শান্তিপুরে এ ঘটনা ঘটে।

অনুপকুমার মজুমদার নামে ওই যুবককে আহত অবস্থায় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, নদিয়ার হবিবপুরের বাসিন্দা অনুপের সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে স্ত্রীর কোনো যোগাযোগ নেই। তারা একসঙ্গে থাকেনও না। স্ত্রী বাপের বাড়িতেই থাকেন।

 

বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠীর দিনে আচমকাই সেই বাড়িতে হাজির হন অনুপ। সঙ্গে নিয়ে আসেন শাশুড়ির জন্য শাড়ি, বাড়ির লোকেদের জন্য আম, কাঁঠাল, দই, মিষ্টি।  

প্রতিবেশীদের দাবি, স্বামীর আসার খবর পেয়েই বাড়ি ছেড়ে চলে যান স্ত্রী। শাশুড়িও দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির সামনে আসন পেতে বসে পড়েন অনুপ। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা খোলেন শাশুড়ি। অনুপও এগিয়ে যান প্রণাম করতে। অভিযোগ, তখনই শাশুড়ি তাকে ইট ছুড়ে মারেন। ওই অবস্থায় নিজের ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে গেলে শ্যালক তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তা ভেঙে দেয় বলেও অভিযোগ।

অনুপের অভিযোগ, তার স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। আইনের দ্বারস্থ হয়ে তার কাছ থেকে খোরপোশ বাবদ বেশ কিছু টাকাও নিয়েছেন। গাড়িটিও রেখে দিয়েছেন নিজের কাছে। পাঁচ বছর ধরে সাত বছরের সন্তানের সঙ্গেও তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।  

তিনি বলেন, লোকের বাড়ি বাড়ি গ্যাস দেওয়ার কাজ করতাম আমি। কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে বউকে ম্যানেজমেন্ট এবং এমএ পাস করাই। আমার সুপারিশে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ওর চাকরি হয়। সেখানেও পরকিয়াতে জড়িয়ে পড়ে স্ত্রী। তখন থেকেই আমাদের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। খোরপোশ বাবদ এক লাখ টাকা নেওয়ার পরেও স্ত্রীর কারণে আইনি সমস্যায় জর্জরিত তিনি। তা থেকে মুক্তি পেতেই স্ত্রীর বাড়িতে ধর্না বলে জানান যুবক। এ ব্যাপারে অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চাননি অভিযুক্ত শাশুড়ি ও শ্যালক।

সূত্র: আনন্দবাজার

news24bd.tv/aa