ঋতুপর্ণর স্মরণে যা বললেন সৃজিত মুখার্জি

ঋতুপর্ণর স্মরণে যা বললেন সৃজিত মুখার্জি

অনলাইন ডেস্ক

ওপার বাংলার জনপ্রিয় পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ।  ২০১৩ সালের ৩০ মে বহু অসমাপ্ত কাজ ফেলে রেখে চলে গেলেন।  আজ মঙ্গলবার এই নির্মাতার দশম মৃত্যুবার্ষিকী।

তারাদের শেষ তর্পণের প্রথম সিজনের একটা পর্বে ঋতুপর্ণ ঘোষের বিষয়ে নানা বিদ্বজন নানা মত, নানা স্মৃতিচারণ করেছিলেন।

সেখানেই সঞ্চালক তথা সূত্রধর গৌতম ভট্টাচার্য মনে করিয়ে দেন ঋতুপর্ণ প্রতিদিন একই সময় উঠতেন। শুধু উঠতেন না, সকলকে ফোন করতেন। করতেন কাজ নিয়ে আলোচনা, করতেন গসিপও!

এ বিষয়ে ওপার বাংলার আরেক জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি, ঋতুপর্ণ ঘোষের স্মরণে বলেন, 'সকাল ছয়টা নাগাদ ফোন করে মহাভারত থেকে এখনকার সময় পর্যন্ত একটা সার্বিক আলোচনা করতে পারত ঋতুদা। সেখানে যেমন গভীর তত্ত্ব আলোচনা করার বিষয় থাকত তেমনই আবার জিজ্ঞেস করত এই কে কার সঙ্গে প্রেম করছে রে? ওঁর এই বিষয়টা আমার দারুণ লাগত।

শুধুই কি তাই তার অনেক সহকর্মীর দাবি তিনি ঝগড়ুটে ছিলেন! ছিলেন বাচ্চাদের মতো দুরন্ত! ঋতুপর্ণের স্মৃতি প্রসঙ্গে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'ঋতু ভীষণ ঝগড়ুটে ছিল। কিন্তু ভালোবাসতে পারত ভীষণ। ঋতু মানুষই ছিল সে চলে যাওয়ার পর তাকে দেবতা বলার কারণ নেই। '

কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় আবার অন্য কথা বলেন। তার কথা অনুযায়ী, 'ঋতুদা হেনস্থা করলেও ভালোবাসত। আবার না বাসলেও হেনস্থা করত। ঋতুদা যা বলতো সেটার ট্রমাটার দরকার আছে। ' অভিজিৎ গুহর মতে, 'ও পুরো দুরন্ত বাচ্চার মতো ছিল। খালি হাতে পায়ে ছটফট করে না এটুকুই যা ছিল!'

১৯৯২ সালে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। সেই বছরই তার প্রথম ফিচার ফিল্ম হীরের আংটি মুক্তি পেয়েছিল। এর আগে যদিও তিনি বিজ্ঞাপনে কাজ করতেন। কিন্তু পুরোপুরি সিনেমা জগতে পা রাখা সেই প্রথম। তার উনিশে এপ্রিল, দহন, বাড়িওয়ালি, অসুখ, উৎসব, শুভ মহরত সহ তার পরিচালিত কম বেশি প্রায় প্রতিটি ছবিই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

news24bd.tv/রিমু