দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদনের কথা জানালেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং স্ত্রীসহ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান।
এছাড়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করবেন। রায় ঘোষণার পর পৃথক প্রতিক্রিয়ায় এমন তথ্য জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।
ইকবাল মাহমুদ টুকু এবং আমান দম্পতিকে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক মামলায় বিচারিক আদালতে দেওয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (৩০ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল খারিজ করে রায় দেন।
দুর্নীতির এ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আর আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে আমান দম্পতির আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমান উল্লাহ আমান সম্পদের কোনো তথ্যই গোপন করেননি। যেসব সম্পদের বিবরণ দুদকে দেওয়া হয়েছে, সেসব সম্পদের কর দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, কারণ এই আদালতেই মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে খালাস দেওয়া হয়েছিল। এই মামলার শুনানিতে মায়ার মামলার উদাহরণ, নজির দেখিয়েছি। কিন্তু আদালত বিচারিক আদালতের সাজাই বহাল রেখেছেন।
এই আইনজীবী আরও বলেন, এ রায়ে আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী ন্যায়বিচার না পাওয়ায় সংক্ষুব্ধ। তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। আর রায়ের অনুলিপি পেলে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাওয়া হবে।
অন্যদিকে, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুন জানান, হাইকোর্টের এ রায় বিচারিক আদালত গ্রহণ করার দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তা করে জামিন চাওয়া হবে। তবে আমার মক্কেল মনে করছেন, উচ্চ আদালতের রায়ে তিনি ন্যায়বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
মামলার বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, বিচারিক আদালত হাইকোর্টের রায় গ্রহণ করার দিন থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে দণ্ডিতদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
