রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূল করতে হলে তামাকের উৎপাদন ও ব্যবহার দুটোই কমিয়ে আনতে হবে। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নসহ বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি এ বিষয়ে সরকারের পাশপাশি নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যমকে সমন্বিত প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান।
আজ (২৯ মে) ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ধূমপান ও তামাক সেবন প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তামাকসৃষ্ট রোগে পৃথিবীতে প্রতিবছর ৭০ লক্ষাধিক মানুষ অকালে মারা যায়।
এমতাবস্থায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব কৃষি জমিতে খাদ্যশস্য চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক জানিয়ে তিনি বলেন, সে জন্য খাদ্য উৎপাদনযোগ্য কৃষি জমিতে ক্ষতিকর নেশাদ্রব্য তৈরির উপকরণ ও তামাক চাষের পরিবর্তে খাদ্যশস্য চাষ করা, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের বাজার নিশ্চিত করা এবং টেকসই ও পুষ্টিকর শস্য চাষ বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করা জরুরি। এ পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক চাষে অনেক বেশি সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়, যা ক্রমশ মাটির উর্বরতা হ্রাস করে। ফলে পরবর্তী সময়ে তামাক চাষের জমিতে খাদ্যশস্য উৎপাদন ভালো হয় না। এছাড়া কাঁচা তামাক পাতা চুল্লিতে আগুনের তাপে শুকানো ও বিড়ি-সিগারেট তৈরির জন্য বনজ সম্পদ ধ্বংস হয় এবং চুল্লির আশপাশের বায়ু মারাত্মক দূষিত হয়। তামাক সেবন ও ধূমপানের ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবিটিস, হাঁপানিসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তামাকের এই বহুমাত্রিক ক্ষতি বিবেচনায় নিয়ে তামাক চাষ কমাতে পারলে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের পথ ত্বরান্বিত হবে। তিনি ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
news24bd.tv/আইএএম