এলএনজি আমদানি বাড়াতে কাতারের সঙ্গে চুক্তি

সংগৃহীত ছবি

 

 

এলএনজি আমদানি বাড়াতে কাতারের সঙ্গে চুক্তি

অনলাইন ডেস্ক

দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ওমান ও কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হয়। বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ার পরও এই দুই দেশ থেকে তুলনামূলক কম দামে এলএনজি পাওয়া যাচ্ছে। সেই সরবরাহ বৃদ্ধি করতে কাতারের সঙ্গে নতুন করে আরেকটি চুক্তি করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার কাতারের দোহায় দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ও কাতার এনার্জি ট্রেডিংয়ের পক্ষে নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ আহমাদ আল হোসাইনি স্বাক্ষর করেছেন।

১৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তির আওতায় ২০২৬ সালে ১২ কার্গো এলএনজি (অতিরিক্ত আরো ১২ কার্গো যুক্ত করার সুবিধাসহ) এবং ২০২৭ সালে ২৪ কার্গো এলএনজি বাংলাদেশে আসবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সব ধরনের জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।

বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। বাড়তি জ্বালানির জোগান দিয়ে দেশের শিল্পায়ন ও অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে। প্রয়োজনীয় জ্বালানি সঠিক সময়ে সরবরাহের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার এই জ্বালানি মৈত্রী দুই দেশের বিরাজমান বন্ধুত্বে এক নতুন মাত্রা যোগ করল।

পৃথিবীজুড়ে জ্বালানি অস্থিরতার এই সময়ে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক অর্জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দক্ষতার জন্যই দ্রুত এই দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন সেরিদা আল কাবি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশে বৃহত্তম এলএনজি সরবরাহকারী দেশ হতে পেরে কাতার গৌরবান্বিত। বছরে প্রায় ৪০ লাখ টন এলএনজি সরবরাহ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/SHS