বিজেএসের প্রশিক্ষণ ফেলোশিপ পেলেন ৪০ সাংবাদিক

সংগৃহীত ছবি

বিজেএসের প্রশিক্ষণ ফেলোশিপ পেলেন ৪০ সাংবাদিক

অনলাইন ডেস্ক

বিল্ডিংঅ্যাসেটস জার্নালিজম স্কুলের (বিজেএস) সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ ফেলোশিপ পেলেন ঢাকার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ৪০ জন সাংবাদিক। সোমবার থেকে ঢাকাস্থ এডওয়ার্ড মারো কেনেডি (ইএমকে) সেন্টারের পৃষ্ঠপোষকতায় মধ্য-ক্যারিয়ারে থাকা সাংবাদিকদের জন্য এই ফেলোশিপ চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার (বিজেআইএম) একটি অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিজেএস।

‘উন্নত সাংবাদিকতার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মশালা’ শীর্ষক ফেলোশিপটিতে ৪০ জন সাংবাদিককে একটি অত্যন্ত কঠোর ও নিরপেক্ষ যাচাইবাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এই মিশ্র সাংবাদিক ব্যাচে রয়েছেন প্রতিবেদক, ফটোসাংবাদিক এবং ভিডিওসাংবাদিক। এই ফেলোশিপের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি পেশাদার সাংবাদিকের বহুমুখী কর্মপ্রতিভা শাণিত করে তোলা।

ইএমকে সেন্টার প্রদত্ত স্মল গ্র্যান্ট ২০২২-২৩ বিজয়ী হয়ে বিজেএস আক্ষরিক অর্থেই দেশের সাংবাদিকতা বিকশিত করে তোলার উদ্যোগে এই ফেলোশিপ পরিচালনা করছে।

ফেলোগণ এই কর্মশালায় সাতটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবেন।

এর মধ্যে রয়েছে মোবাইলফোন সাংবাদিকতা, গল্পবলা ও সংবাদ উৎস সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, সংবাদ নীতি ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, দীর্ঘলেখনী সাংবাদিকতা, ভুয়া নিউজ ও ভুল তথ্য খুঁজে বের করার সাধারণ কিছু নিয়মাবলী, বহুমুখী সাংবাদিকতা ও প্রতিকূল পরিবেশে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ।

এই কর্মশালায় প্রশিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন এএফপি ব্যুরোপ্রধান শফিকুল আলম, প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলাম, আল-জাজিরা প্রতিনিধি ফয়সাল মাহমুদ, এএফপি ফ্যাক্টচেক সম্পাদক কদরউদ্দিন শিশির, ডিডব্লু একাডেমি প্রশিক্ষক মাকসুদা আজিজ, পুলিৎজারজয়ী একমাত্র বাংলাদেশি সাংবাদিক মোহাম্মদ পনির হোসেন এবং আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্যাম জাহান।

১০ সপ্তাহব্যাপী এই অনাবাসিক কর্মশালা শেষে অন্তত ৭০ শতাংশ নম্বর ওঠাতে পারলে ফেলোগণ পাবেন একটি সনদ এবং প্রথম তিনজন পাবেন আকর্ষনীয় ক্রেস্ট।

বিজেএসের প্রধান প্রশিক্ষক স্যাম জাহান বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষ প্রশিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত এই ধরনের ফেলোশিপ এবং প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলি আসলেই সহসা দেখা যায় না। এটি আমাদের ফেলোদের জন্য তাদের দক্ষতা বাড়াতে এবং আরও ভাল সাংবাদিক হওয়ার একটি দুর্দান্ত সুযোগ হবে। আমরা আশা করি আমরা ভবিষ্যতেও এই ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারব। ’

এই ফেলোশিপে অংশ নেওয়া ফেলোগণ হচ্ছেন- মো. সাহাবীর মিয়া (বীর সাহাবী), মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (কাজী মুস্তাফিজ), আবদুল্লাহ আল জোবাইর, ঝুমুর সাহা, মারজিয়া হাশমি মম, নাসিলুম আহমেদ শুভ, সাইমুন মুবিন, মনিরুজ্জামান, সবুজ মাহমুদ, ফারিজা সাবরিন, রাফিয়া খানম চৌধুরি, ফৌজিয়া সুলতানা, শরীফা সুলতানা, ইফফাত জাহান, ফারহানা হক, মো. হেদায়েত উল্লাহ, মো. আরশাদ আলী, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রব্বানি, মো. মিরাজ হোসেন, শেখ শাহরুখ ফারহান, মো. মিনহাযুল আবেদিন রিয়াজ চৌ., এম এম হাশমি, নায়েম শান, মো. তানজিল আহমেদ, মো. ওসমান গণি, মো. তাজনুর ইসলাম, তাসলিমুল আলম তৌহিদ, শোয়েব আব্দুল্লাহ, মাহফুজুর রহমান মানিক, স্টেফান রোজারিও, নূর মোহাম্মদ, অমিত বণিক, মো. আসাদুজ জামান, হাসান আল মানজুর, মো. মারিফুল ইসলাম, ক্যারি আশীর্বাদ বিশ্বাস ও ইয়াসির আরাফাত।

news24bd.tv/আলী 

এই রকম আরও টপিক