আইনজীবীর বেশে আদালত ভবনে ঢুকে শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা

সঞ্জীব জীবা

আইনজীবীর বেশে আদালত ভবনে ঢুকে শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌয়ে এবার আদালত ভবনে ঢুকে এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, বুধবার (৭ জুন) সঞ্জীব জীবা নামের ওই সন্ত্রাসীকে রাজ্যটির কাইসেরবাগের একটি নিম্ন আদালতে হাজির করানোর সময় খুব কাছ থেকে গুলি করেন আইনজীবীর পোশাক পরা এক ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সঞ্জীব। তাকে বাঁচাতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এছাড়া এক নারী ও তার সন্তানও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আইনজীবীর বেশে থাকা ব্যক্তি সঞ্জীবকে খুন করেছেন। তবে একজন না একাধিক ব্যক্তি এই খুনের নেপথ্যে রয়েছেন সে বিষয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে।

কারও কারও মতে, আততায়ীরা সংখ্যায় ৪-৫ জন ছিলেন।

তাদের মধ্যে একজনকে ধরে ফেলেন আইনজীবীরা। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনার তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

তবে পুলিশের নাকের ডগায় বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকায় উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আদালত চত্বরে একজন আততায়ী কীভাবে বন্দুক নিয়ে প্রবেশ করলেন, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।

সঞ্জীবের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে অন্তত ৫০টি অপরাধমূলক মামলা আছে তার নামে। মূলত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে সক্রিয় থাকা সঞ্জীব আর এক কুখ্যাত সন্ত্রাসী মুখতার আনসারির অনুগামী বলে পরিচিত।

এদিকে এই ঘটনায় অনেকেই আতিককাণ্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। গত ১৫ এপ্রিল প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় আতিক আহমেদ ও তার ভাই আসরফ আহমেদকে গুলি করে হত্যা করেন সাংবাদিকের বেশধারী তিনজন।

অভিযোগ রয়েছে কড়া পুলিশি প্রহরার মধ্যে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে আতিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

সূত্র: এনডিটিভি

news24bd.tv/aa