কম দামে পাওয়া যাচ্ছে কোরবানির মাংস

সংগৃহীত ছবি

কম দামে পাওয়া যাচ্ছে কোরবানির মাংস

অনলাইন ডেস্ক

পশু কোরবানির মাধ্যমে ঈদুল আজহা পালন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কেউ কোরবানি দিয়েছেন গরু, কেউবা খাসি। তবে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে অনেকেই কোরবানি দিতে পারেননি। শহরের বিভিন্ন স্থানে কোরবানিকৃত গরুর মাংস, মাথা, পা ইত্যাদি সংগ্রহ করে বিক্রি করে থাকেন পশু ব্যবসায়ীরা।

মূলত আর্থিকভাবে অসচ্ছল ক্রেতাদের জন্যই তাদের এ আয়োজন। সংগ্রহকৃত এসব মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যেই।

বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজার গিয়ে দেখা যায়, সংগ্রহকৃত কোরবানির মাংসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকে। অনেক ক্রেতা এসে ভিড় জমাচ্ছেন আশপাশে।

কথা হয় ব্যবসায়ী জব্বারের সঙ্গে। তিনি বলেন, যেসব জায়গায় কোরবানি হয়, আমরা সেখান থেকে মাংস, আস্ত পা, মাথা এসব কিনে নিয়ে আসি। পরে এখানে এনে তা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করি। অনেকেই আছে কোরবানি দিতে পারে না বা বাজার থেকে মাংস কিনতে পারে না, তারা আমাদের এখান থেকে মাংস কেনে।

সুলতান মিয়া নামে আরেক মাংস ব্যবসায়ী বলেন, পরিচিত নানা জায়গা থেকে মাংস কিনে এনে আমরা এখানে বিক্রি করি। মোটামুটি কম দামে এখান থেকে কাস্টমাররা তাজা কোরবানির মাংস কিনতে পারেন।

এখানে মূল মাংস বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যেই। ৪টা পা একত্রে বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়। ফ্যাপসা বা এ জাতীয় জিনিস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকার মধ্যেই।

কথা হয় মাংস কিনতে আসা রিকশাচালক ইসমাইলের সঙ্গে। তিনি বলেন, কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য তো নাই, কিন্তু মাংস খাইতে মন চায়। তাই এখানে কিনতে আসছি। বাজারের চাইতে কম দামেই এখানে পাওয়া যায়।

আরেক ক্রেতা ফরহাদ হোসেন একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, এখানে একটু কম দামেই তাজা কোরবানির মাংস পাওয়া যায়। তাই কিনতে আসা।

দোকানের পাশাপাশি অনেকে পলিথিনে ভরে মাংস নিয়ে আসছেন বিক্রির জন্য। তবে সেসব মাংসের দাম হাঁকানো হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এমনই একজন বিক্রেতা জসীম উদ্দিন বলেন, এখানে যেসব মাংস বিক্রি হচ্ছে তাতে মাংসের সাথে চর্বিও থাকে। কিন্তু আমারটা একেবারে খাঁটি মাংস। কোনো চর্বি বা হাড্ডি নাই।

News24bd.tv/aa