দেড় লাখ টাকা পেয়েও যে কারণে মন খারাপ জামালের

সংগৃহীত ছবি

দেড় লাখ টাকা পেয়েও যে কারণে মন খারাপ জামালের

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত সাফ বঙ্গবন্ধু চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ ১৪ বছর পর দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চের শেষ চারে ওঠায় ফুটবলারদের পুরস্কৃত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। আজ মতিঝিলে বাফুফে ভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে ডেকে ফুটবলারদের হাতে অর্থ-পুরস্কার তুলে দেন ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

সেমিফাইনালে উঠলে পুরো দলকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আগেই দিয়েছিলেন সালাউদ্দিন।

সেই পুরস্কারের অর্থই আজ ফুটবলাদের দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকে পেয়েছেন দেড় লাখ টাকা করে।

তবে এ অর্থ পুরস্কার পাওয়ার পরও মন খারাপ ছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার। এর পেছনে অবশ্য আর্থিক কোনো কারণ নেই।

দল সেমিতে উঠলেও মন ভরেনি তার। জামালের আক্ষেপ ফাইনাল খেলতে না পারায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের মন খারাপ। কারণ, আমরা ফাইনালে খেলতে পারিনি। তবে সভাপতি যে সম্মান দিয়েছেন, আমরা খুশি। যাওয়ার আগে কোচকে সভাপতি বলেছিলেন দুজন স্ট্রাইকার খেলাতে। তার উপদেশ কাজে এসেছে। ’

পুরো দল দেড় লাখ টাকা করে পেলেও তিন ফুটবলারকে আলাদাভাবে পুরস্কৃত করেন সালাউদ্দিন নিজে। মঞ্চে তিনি আলাদাভাবে ডেকে সাফের সেরা গোলকিপার আনিসুর রহমান ও তরুণ শেখ মোরছালিনকে দিয়েছেন এক লাখ টাকা করে। রাইটব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষকে দিয়েছেন ৫ লাখ টাকা। সাফের ফাইনালে উঠতে পারলে বিশ্বনাথ নিজে গোটা দলকে ৫ লাখ টাকা উপহার দেবেন বলেছিলেন। সেটা জানতে পেরে বিশ্বনাথের উদার মনের জন্য তাকে ৫ লাখ টাকা দেন সভাপতি।

সামর্থ্য থাকলে নিজে ফুটবলারদের আরও বড় আকারে পুরস্কৃত করতেন বলেও জানান সালাউদ্দিন। বিশ্বনাথের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলছিলেন, ‘ওর কথাটা স্পিরিটের অংশ। এ রকম খেলোয়াড়ই আমার দরকার। তাকেও আমার পক্ষ থেকে সামান্য অর্থ পুরস্কার। আমার তেমন সামর্থ্য নেই। তাই খুব সামান্য অর্থ দিচ্ছি। তোমরা অবশ্যই এর চেয়ে বেশি পাওয়ার যোগ্য। আমার সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই বেশি দিতাম। ’

news24bd.tv/SHS