ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

প্রতীকী ছবি

ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

অনলাইন ডেস্ক

রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার শিরোইল কাঁচাবাজার এলাকার ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে নগরীর মতিহার থানা ও রাজশাহীর বাঘা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সমর কুমার সরকার (২১) ও রান্টু ইসলাম (৫২)। সমর রাজশাহীর বাঘা থানার গাওপাড়ার লিপটন কুমারের ছেলে ও রান্টু ইসলাম বাঘা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের মৃত মাজেদের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার শিরোইল কাঁচাবাজার এলাকার। গত ১ আগস্ট বিকেলে কোচিং থেকে বাড়ি ফিরে না আসায় তার বাবা-মা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আশেপাশের এলাকাসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওইদিন রাতেই বোয়ালিয়া থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। পরের দিন ২ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টায় ওই স্কুলছাত্র বাড়ি ফিরে আসলে তার বাবা-মা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান।

 

ভিকটিম তার বাবা-মাকে জানায় যে, শিরোইল কাঁচাবাজারের ফটোকপি দোকানের কর্মচারী সমরের সঙ্গে ফটোকপি করার সুবাদে তার পরিচয় হয় এবং সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। ১ আগস্ট বিকেল ৫টান দিকে কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার সময় শিরোইল কাঁচা বাজার এলাকায় সমরের সঙ্গে তার দেখা হয়। সেখানে সমর তাকে চেতনানাশক পদার্থ পান করিয়ে অপহরণ করে রান্টু ইসলামের বাড়ি বাঘাতে নিয়ে আটকিয়ে রাখে। সেখানে রাতে সেই ছাত্রকে ওষুধ খাইয়ে তারা জোরপূর্বক বলাৎকার করে। বলাৎকারের বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পরেরদিন ২ আগস্ট মতিহার থানার তালাইমারী মোড়ে রেখে যায়।

আসামিদের ভয়ে ছেলেটি তার বাবা-মার কাছে বিষয়টি গোপন রাখে। পরবর্তীতে আসামি সমর আবারও ওই ছাত্রকে বলাৎকারের উদ্দেশ্যে বাঘা নিয়ে যাওয়ার জন্য মোবাইল করলে বিষয়টি ভিকটিম তার বাবা-মাকে জানায়। প্রাথমিকভাবে ভিকটিমের বাবা-মাও লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখেন। পরে ১১ আগস্ট স্কুলছাত্রের পিতা লিখিতভাবে অভিযোগ করলে বোয়ালিয়া থানায় ধর্ষণের মামলা হয়।  

মামলার পর পুলিশ অভিযান শুরু করে। ওইদিন রাত ১.১০ টায় মতিহার থানার তালাইমারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি সমরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার সমরের দেওয়া তথ্য মতে ভোর ৪.৫০ টায় রাজশাহীর বাঘা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রান্টু ইসলামকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং আসামি সমর নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।