গোলাম মাওলা রনির ছেলের থেকে ঘুষ আদায়, পুলিশ কনস্টেবল প্রত্যাহার

সংগৃহীত ছবি

গোলাম মাওলা রনির ছেলের থেকে ঘুষ আদায়, পুলিশ কনস্টেবল প্রত্যাহার

অনলাইন ডেস্ক

পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির ছেলে রিয়াদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়ের অভিযোগে এক ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারকৃত কনস্টেবল আশরাফ রমনার নিউ মার্কেট জোনে কর্মরত ছিলেন। তাকে উপকমিশনারের (ডিসি) সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জয়নুল আবেদীন প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত ট্রাফিক কনস্টেবল আশরাফের এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে প্রত্যাহার ও তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ৩০ আগস্ট ঘুষ আদায়ের ঘটনা ঘটে। রিয়াদের কাছ থেকে গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে মামলা থেকে বাঁচাতে তিন হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এ সময় রিয়াদ মামলা দিতে বলেন।

কিন্তু তা না করে রিয়াদকে এক ঘণ্টা গাড়িসহ রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখেন আশরাফ। পরে বাধ্য হয়ে এক হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যান রিয়াদ।

এ ঘটনা তুলে ধরে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন গোলাম মাওলা রনি। এতে তিনি লেখেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার খোন্দকার গোলাম ফারুক যদি বিষয়টি দেখতেন এবং আমার ছেলের কাছ থেকে আদায় করা ঘুষের এক হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতেন তবে পুলিশ সম্পর্কে আমার বিশ্বাস এবং আস্থা অটুট থাকত!

বিষয়টি ডিএমপি কমিশনারের নজরে এলে তিনি ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারকে (ট্রাফিক) ঘটনার তদন্ত করতে বলেন।

রনির অভিযোগ ও কমিশনারের নির্দেশনায় পরবর্তীতে তদন্তে নামে ট্রাফিক রমনা বিভাগ। তদন্তে দায়ী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।

ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জয়নুল আবেদীন বলেন, বিষয়টি নজরে আসার পর কমিশনারের নির্দেশে নিউ মার্কেট এলাকায় দায়িত্বরত সব ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট, কনস্টেবলদের ডেকে পাঠানো হয়। ‍শুনানি করা হয়। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দীর্ঘসময় নিয়ে অভিযুক্তকে শনাক্ত করে অভিযোগকারী গোলাম মাওলা রনিকে আসতে অনুরোধ করা হয়। তিনি তার ভুক্তভোগী ছেলেসহ এসে ঘটনায় জড়িত কনস্টেবল আশরাফকে শনাক্ত করেন।  

জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে তাকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে আমার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে আশরাফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

news24bd.tv/আইএএম