দিনাজপুরের বিরলে অবৈধভাবে মজুদের অভিযোগে ৩২৫ মেট্রিক টন ধান জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অবহিতকরণ সভায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী।
এর আগে, দুপুরে বিরল উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের মুছাব্বির রফিক হোসেন নামের এক ব্যক্তির গোডাউন থেকে এসব ধান জব্দ করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ধান ও চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের অভিযানে দিনাজপুরের বিরল থেকে মুছাব্বিরের গোডাউন থেকে ৩২৫ মেট্রিক টন ধান জব্দ করা হয়েছে।
মুছাব্বিরের ধান মজুদের লাইসেন্স থাকলেও অনুমোদনের চেয়েও অনেক বেশি ধান সে মজুদ করে এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় গোডাউনে রেখেছে। গত বোরো মৌসুমের ধান একমাস গোডাউনে রাখার অনুমোদন থাকলেও সে প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত সেই ধান বিক্রি করে নাই। ওই ধান ব্যবসায়ীর গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রস্তুতি চলছে।দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিখা আশার নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন, ওসি শাহ্ গোলাম মাওলা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আতোয়ার হোসেনসহ অনেকে।
এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন জানান, মুছাব্বিরের ধান মজুদের লাইসেন্স থাকলেও অনুমোদনের চেয়েও অনেক বেশি ধান সে মজুদ করে এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় গোডাউনে রেখেছে। গত বোরো মৌসুমের ধান একমাস গোডাউনে রাখার অনুমোদন থাকলেও সে প্রায় ৭ মাস পর্যন্ত সেই ধান বিক্রি করে নাই। ওই ধান ব্যবসায়ীর গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। অভিযান চলমান থাকবে এবং এ কারণে ইতিমধ্যেই ধান ও চালের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে বলে দাবি এই কর্মকর্তার।
news24bd.tv/কেআই