সামান্য অর্থের লোভে সাংবাদিক আফতাবকে হত্যা, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

হাইকোর্ট

সামান্য অর্থের লোভে সাংবাদিক আফতাবকে হত্যা, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

অনলাইন ডেস্ক

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক আফতাব আহমেদকে সামান্য অর্থের লোভে নৃশংস ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাঁচ আসামির ফাঁসি বহাল রেখে দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ’র বেঞ্চ।  

২০২২ সালের ১২ অক্টোবর রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বাংলায় লেখা ৫৫ পৃষ্ঠার ওই রায় মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

 

হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রবীণ ফটোসাংবাদিক ছিলেন আফতাব আহমেদ। যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং পরে অসংখ্য দুর্লভ ছবি ধারণ করে বিরল সম্মান ‘একুশে পদক’ পেয়ে বিরাট মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ৭৯ বছর বয়সী সেই আফতাব উদ্দিন আহমেদকে সামান্য অর্থের লোভে নৃশংস ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।  

হাইকোর্ট বলেন, এই অবৈধ হত্যাকাণ্ডটি আসামি মো. হুমায়ূন কবির মোল্লা, মো. রাজু মুনশি, মো. হাবিব হাওলাদার, মো. বিল্লাল হোসেন কিসলু ও মো. রাসেল কর্তৃক সংঘটিত হয়েছে মর্মে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

ফলে এই অপরাধীরা কোনোক্রমেই কোনো প্রকার অনুকম্পা ও কৃপা পেতে পারেন না। এই অপরাধীরা সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়া অত্যাবশ্যক। অমানবিক, বর্বরোচিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের ক্ষেত্রে মো. মহিউদ্দিন এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র মামলার সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা সমীচীন।  

২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর পশ্চিম রামপুরার ওয়াবদা রোডের বাসা থেকে আফতাব আহমেদকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় আফতাব আহমেদের ছেলে মনোয়ার আহমদ সাগর মামলা দায়ের করেন। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ ওই মামলার রায় দেন। রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয় হাইকোর্টে। আর আসামিরাও পৃথকভাবে আপিল ও জেল আপিল করেন।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক