মোংলা বন্দরে বেপরোয়া চোরাচালান চক্র, বিদেশি রঙয়ের চালানসহ হোতা আটক

চোরাচালানের মাধ্যমে আনা রঙয়ের একটি বড় চালান আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চক্রের হোতা হাশেম ফকিরকে (ইনসেটে) - নিউজ টোয়েন্টিফোর

মোংলা বন্দরে বেপরোয়া চোরাচালান চক্র, বিদেশি রঙয়ের চালানসহ হোতা আটক

বাগেরহাট প্রতিনিধি

মোংলা বন্দর কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা সংঘবদ্ধ চোরাচালান চক্র আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা এ চক্রের চিহ্নিত সদস্যরা বন্দরে আগত বিভিন্ন বিদেশি জাহাজ, ড্রেজিং মেশিন ও লাইটার কার্গোসহ নানান নৌযান থেকে বিভিন্ন মূল্যবান পণ্য চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার করে এনে তা দেশের বিভিন্নস্থানে বিক্রি করছে।

সম্প্রতি মোংলা থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এক অভিযান চালিয়ে বিদেশি জাহাজ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নামিয়ে আনা রঙয়ের একটি বড় ধরনের চালান আটক করেছে। এ সময় চোরাচালান চক্রের হোতা শহরতলীর কানাইনগরের মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে মো. হাশেম ফকিরকে (৫০) হাতেনাতে গ্রেপ্তার করলেও তার অপরসঙ্গী একই এলাকার ইউপি মেম্বার সুলতান হাওলাদারের ছেলে মো. হাসান ওরফে জাকির হাওলাদারসহ (৩৮) অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এদিকে, এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে নিজেদেরকে রক্ষায় প্রভাবশালী মহল প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে নানা তদবির চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মোংলা থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে পৌর শহরের সিঙ্গাপুর মার্কেট এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী চক্রের সদস্যরা বিদেশি জাহাজ থেকে অবৈধভাবে আনা ৫৫টি কন্টেইনারে ২০ লিটার করে মোট ১১০০লিটার রঙ ট্রাকযোগে খুলনায় পাচার করছিল। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাচার করে আনা ওই বিদেশি রংসহ অন্য কন্টেইনারে রাখা ২০ লিটার থিনার ও কিছু দাহ্য জাতীয় পদার্থ জব্দ করে। এ সময় চোরাচালান চক্রের হোতা শহরতলীর হাশেম ফকিরকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ পলাতক আসামি মো. হাসান ওরফে জাকির হাওলাদারসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

news24bd.tv/SHS